মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ২০১৬-র নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন হিলারি ক্লিন্টন। আজ ওয়াশিংটন থেকে একটি দু’মিনিটের ভিডিও-বার্তা সম্প্রচার করে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি জানান, ‘‘প্রেসিডেন্ট-দৌড়ে নামছি আমি। এ দেশের প্রত্যেকটি মানুষের এক জন চ্যাম্পিয়ন দরকার। আমি সেই চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আশা করি এই চলার পথে আপনাদের সকলকে পাশে পাব।’’
২০০৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় স্তরে আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী বারাক ওবামার সঙ্গে জোর লড়াই হয়েছিল হিলারির। অভ্যন্তরীণ ভোটে হেরে সে বার সরে গিয়েছিলেন তিনি। হিলারি ও তাঁর স্বামী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সমথর্ন নিয়েই রিপাব্লিকান প্রার্থী জন ম্যাককেনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বারাক। হিলারিকে করেছিলেন তাঁর বিদেশসচিব।
আজ হিলারির ভিডিও-বার্তা সম্প্রচারিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পানামায় এক সম্মেলনে েপ্রসিডেন্ট ওবামা মন্তব্য করেন, ‘‘অসাধারণ এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন হিলারি ক্লিন্টন।’’ বেশ কয়েক বছর এক সঙ্গে কাজ করার পরে এখন তাঁরা ভাল বন্ধু বলেও এ দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বারাক ওবামা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, এ বার ভোটে ডেমোক্র্যাটদের জেতার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু আগামী কয়েক মাসে যদি নিজেদের পালে হাওয়া টানতে পারেন ওবামা, তবে নিঃসন্দেহে তার সুবিধে ভোগ করবেন ৬৭ বছর বয়সি প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিই।
ডেমোক্র্যাটিক দলে হিলারির সম্ভাব্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তাঁরা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেননি। আর বেশ কয়েক জন হেভিওয়েট রিপাব্লিকান প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ভাই, প্রথম জর্জ বুশের ছেলে জেব বুশ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়ে সে দফা পুরুষতন্ত্রের ‘কাচের ছাদ’ ভাঙতে পারেননি হিলারি। এ বার পারবেন কি না, সেটা বলে দেবে ২০১৬-র ৮ নভেম্বর।