সিরিয়ার দুমায় এলেন পরিদর্শকেরা

রাশিয়ার দাবি ছিল, ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে’ ওখানে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। যা শুনে উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন অফিসাররা।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

দ্য হেগ শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৬:৪৮
Share:

রাসায়নিক হামলা হয়েছে কি না, তার তদন্তে আসা অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস (ওপিসিডব্লিউ)-কে সিরিয়ার দুমার ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এই গোষ্ঠীর বিশেষজ্ঞরা দামাস্কাসে পৌঁছেছেন গত শনিবার। কিন্তু দুমা শহরে তাঁরা ঢুকতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা পৌঁছন সেখানে।

Advertisement

রাশিয়ার দাবি ছিল, ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে’ ওখানে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। যা শুনে উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন অফিসাররা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, সিরিয়ার বন্ধু-দেশ রাশিয়া ঘটনাস্থলে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এ দিন অবশ্য মত বদলে রুশ প্রশাসন ওপিসিডব্লিউ-কে ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছে।

সিরিয়ায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক— ওপিসিডব্লিউ-এর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। দ্য হেগ-এ ওপিসিডব্লিউ-এর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি বেণু রাজামণি সোমবার এই অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজামণি বলেন, রাসায়নিক হামলার অভিযোগ সত্যি হলে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে যারা আছে, তাদের সামনে আনতে হবে।

Advertisement

ওপিসিডব্লিউ দ্রুত সিরিয়া পৌঁছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে, তাই তাদেরও ধন্যবাদ দেন রাজামণি।

সিরিয়া অভিযোগ ওড়ালেও আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স নিজেদের গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে দুমায় ক্লোরিন গ্যাস এবং সম্ভবত নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার হয়েছিল। ওপিসিডব্লিউ হামলার ১১ দিন পরে দুমায় পা ফেলল। মাটি এবং অন্যান্য নমুনা থেকে গোষ্ঠীর বিশেষজ্ঞরা রাসায়নিক হামলার প্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাবেন। ওপিসিডব্লিউ-এর বৈঠকে মার্কিন দূত কেনেথ ওয়ার্ডের দাবি, ‘‘আমরা যত দূর বুঝছি, রুশ প্রশাসন সম্ভবত ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তাই আমাদের চিন্তা হয়তো প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। ওপিসিডব্লিউ যাতে কাজ করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই এই কাজ করে থাকতে পারে ওরা।’’ রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভ্রভ অবশ্য জানান, ‘‘প্রমাণ নষ্টের কোনও চেষ্টা করিনি আমরা।’’ তাঁর দাবি, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের অভিযোগ মনগড়া ব্যাপার।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা দুমা থেকে জানিয়েছে, অন্তত ৫০০ রোগী তাদের কাছে এসেছে। কোনও রাসায়নিক শরীরে ঢুকলে যে যে লক্ষণ পাওয়া যায়, তার অনেকগুলিই তাঁদের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ভোররাতে হোমস-এর উপরে ফের আকাশপথে হামলা হয়েছে। তবে কারা হামলা চালিয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন