জঙ্গিদের অর্থ জোগানোর অভিযোগে শুকোচ্ছে আন্তর্জাতিক অনুদান ও সহায়তার বহর। উপায়ান্তর না দেখে প্রায় দশ বছর পরে নিজেদের প্রতিরক্ষা বাজেটে ২০% বাড়াল পাকিস্তান।
এই প্রথম তাদের সামরিক বাজেট (২০১৮-১৯) ৯৬০ কোটি ডলারের সীমা ছাড়িয়েছে। এই বর্ধিত বাজেটের বড় অংশই কাজে লাগবে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিকাঠামো এবং সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অাশঙ্কা, কাশ্মীরে সন্ত্রাস বাড়ানোর কাজেও এই অর্থের একটা অংশ লাগানো হবে।
বিষয়টির দিকে সতর্ক নজর রাখছে দিল্লি। এমনিতেই ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’-এর নজরদারির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। আমেরিকাও জানিয়ে দিয়েছে কিছু জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তারা সামরিক সহায়তা বন্ধ রাখবে। আর তাই সব মিলিয়ে কিছুটা নাভিশ্বাস উঠেছে ইসলামাবাদের। ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারকে আরও শক্তিশালী করার ইচ্ছে রয়েছে পাক সরকারের। এ কথাও জানা গিয়েছে এই বর্ধিত বাজেটের অধিকাংশ অর্থই বরাদ্দ হয়েছে পাকিস্তানের নৌসেনার জন্য। এর পিছনে ঠিক কী কৌশল রয়েছে সেটা বুঝতে চেষ্টা করছে সাউথ ব্লক। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে পরমাণু শক্তিধর ডুবোজাহাজের ভান্ডারটিকে আরও বলশালী করতে চাওয়া হচ্ছে। মার্চ মাসেই এই ডুবোজাহাজের পরীক্ষা করা হয়েছিল সে দেশের পক্ষ থেকে।