পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। ছবি: রয়টার্স
শপথ নিয়েই তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠল পাক বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েই শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালু করতে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে নয়াদিল্লির বক্তব্য, এই দাবির কোনও সত্যতা নেই। শুধুমাত্র ইমরান খানকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মতো বিষয়ের উল্লেখই ছিল না।
নবনির্বাচিত পাক বিদেশমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি দাবি করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওই সাংবাদিক বৈঠকেই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বলেন, পাকিস্তানেরও আলোচনা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।
কিন্তু সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্পর্কে কোনও কথা ছিল না। মোদী লিখেছিলেন, ভারত চায় প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে।
আরও পডু়ন: ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ফেরাতেই কি সিধু-চাল দিল্লির?
আরও পড়ুন: ২৬ বছর পরে ইমরান ফের পাক ‘অধিনায়ক’
ভারতের তরফে বার বারই ইসলামবাদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা’ একসঙ্গে চলতে পারে না। তবে সন্ত্রাস নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলতে পারে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও একথা স্পষ্ট করে বলেছেন একাধিক বার। কূটনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ‘সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা’-কে ‘দ্বিপাক্ষিক আলোচনা’ বলে ভুল করেছেন কুরেশি। তবে তাতেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।