পাকিস্তান স্তব্ধ করার হুমকি, ধৃত ধর্মগুরু

২০১০ সালে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ, প্রতিবেশীরা তাঁদের গ্লাসে জল খেতে না দেওয়ায় ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন আসিয়া। যদিও তা প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

লাহৌর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৩
Share:

কট্টরপন্থী ধর্মগুরু খাদিম হুসেন রিজভি।—ছবি রয়টার্স।

ধর্মদ্রোহে অভিযুক্ত আসিয়া বিবির মুক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান অচল করার ডাক দিয়েছিলেন কট্টরপন্থী ধর্মগুরু খাদিম হুসেন রিজভি। শুক্রবার রাতে সেই রিজভিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যার জেরে ফের দেশে বড়সড় অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করছে পুলিশ।

Advertisement

২০১০ সালে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ, প্রতিবেশীরা তাঁদের গ্লাসে জল খেতে না দেওয়ায় ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন আসিয়া। যদিও তা প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন তিনি। সম্প্রতি আসিয়ায় মৃত্যদণ্ড রদ করে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেয় সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে খেপে ওঠে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, আসিয়া বিবিকে মুক্তি দিয়ে চুক্তিভঙ্গ করেছে সরকার। খাদিম হুসেন রিজভির ডাকে টানা তিন দিন পাকিস্তানের বড় শহরগুলি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তেহরিক-ই-লাবাইক। যে বিচারপতি আসিয়া বিবির মুক্তির রায় দিয়েছেন, তাঁকে খুনের নির্দেশ দেয় তাঁর পাচক ও পারিচারককে।

গত কাল রাতে লাহৌর থেকে রিজভিকে গ্রেফতারের পরে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে এক দফা সংঘাত হয় পুলিশের। তাঁর ছেলে সাদ রিজভি বলেছেন, ‘‘রাতে আমাদের মাদ্রাসায় চড়াও হয়ে শ্রদ্ধেয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’ গ্রেফতার হন তাঁর কিছু সমর্থকও। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ধর্মগুরুকে সুরক্ষিত ভাবে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। তাঁকে একটি গেস্ট হাউসে পাঠানো হয়েছে। পাক তথ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, ‘‘রবিবার ‘শহিদ-দিবস’ পালনের জন্য সমর্থকদের বিক্ষোভে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন রিজভি। জনজীবন শান্ত রাখতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এর সঙ্গে আসিয়া বিবির মামলার কোনও যোগ নেই।’’

Advertisement

চলতি মাসের শুরুতে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আত্মগোপন করে আছেন ৫৪ বছরের আসিয়া বিবি। প্রাণনাশের আশঙ্কায় অন্য দেশে আশ্রয় চেয়েছে তাঁর পরিবার। তেহরিক-ই-লাবাইকের হুঁশিয়ারি, আসিয়া দেশ ছাড়লে ফের পাকিস্তান অচল করে দেবে তারা। প্রকাশ্যে আসিয়াকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলেছে সংগঠনটি। আসিয়াকে মুক্তি দেওয়ায় সরকার ফেলে দেওয়ার ডাক পর্যন্ত দেন দলের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আফজল কাদরি। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাফ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এই পরিস্থিতিতে গত রাতে রিজভির গ্রেফতারের পর ফের বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ-প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন