ছেলে বাড়ি ছাড়ছেন না, কোর্টে বাবা-মা

নিউ ইয়র্কের ক্যামিলাসের ঘটনা। মার্ক ও ক্রিস্টিনা রোতোন্ডোর অভিযোগ, তাঁদের ছেলে মাইকেল সংসারের কোনও দায়দায়িত্ব নেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০২:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কর্মহীন ছেলের আচার-আচরণে বিরক্ত হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন বাবা-মা। মুখের কথায় কাজ না হওয়ায় শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রৌঢ় দম্পতি। আদালত রায় দিয়েছে, অর্থ দিয়ে বাবা-মাকে সাহায্য না করলে, বাড়িতে থাকার অধিকার নেই ছেলের। তাই তল্পিতল্পা গুটিয়ে অন্যত্র যেতে হবে বছর তিরিশের মাইকেল রোতোন্ডোকে।

Advertisement

নিউ ইয়র্কের ক্যামিলাসের ঘটনা। মার্ক ও ক্রিস্টিনা রোতোন্ডোর অভিযোগ, তাঁদের ছেলে মাইকেল সংসারের কোনও দায়দায়িত্ব নেন না। তার উপরে আট বছর ধরে মাইকেল বেকার। এক বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ছেলের সঙ্গে বাক্যালাপও নেই তাঁদের। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাইকেলকে ৫ বার বাড়ি ছাড়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। মাইকেল তাতে কর্ণপাত না করায় বাবা-ছেলের দ্বন্দ্ব গড়ায় কোর্টরুম পর্যন্ত।

আদালত জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি ছেলেকে প্রথম নোটিস পাঠিয়েছিলেন মার্ক। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমি আর তোমার মা ঠিক করলাম, তোমার আর আমাদের বাড়িতে জায়গা হবে না। তোমার হাতে ১৪ দিন সময় আছে।’’ মার্কের অভিযোগ, সেই নোটিস পাঠানোর পরেও কেটে গিয়েছে চার মাস। আরও চারটি লিখিত নোটিস গিয়েছে ছেলের কাছে। মার্ক জানান, মাইকেলকে চাকরি খোঁজার জন্য ১,১০০ ডলার দিয়ে সাহায্যের প্রস্তাবও দেন তিনি। কী ভাবে একা থাকতে হবে, সেই পরামর্শও দেন চিঠিতে। যদিও তাতে হেলদোল হয়নি মাইকেলের। ৫ মার্চ শেষ চিঠিতে মার্ক সাফ জানান, এ বার তিনি এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবেন মাইকেল।

Advertisement

মঙ্গলবার কোর্টরুমে মুখোমুখি হন দু’পক্ষ। মার্ক ও ক্রিস্টিনার পক্ষে আইনজীবী থাকলেও, নিজের মামলা একাই লড়েন মাইকেল। রায় যায় তাঁর বিরুদ্ধে। নিউ ইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডোনাল্ড গ্রিনউড মাইকেলকে তাঁর বাবার বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন। আদালতের কাছে ছ’মাস সময় চান মাইকেল। বিচারপতি বলেন, একমাত্র বাবা-মা অনুমতি দিলেই তা সম্ভব। কিন্তু মার্ক ও ক্রিস্টিনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি মাইকেল। উপরন্তু তাঁর কথা ঠিক মতো শোনা হয়নি, এই অভিযোগ তুলে রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

আদালত বলেছে, তাঁর আবেদন পুনর্বিবেচনা না হওয়া অবধি বাবা-মা’র বাড়িতে থাকতে পারবেন তিনি। তাই মঙ্গলবার রায় শুনেও সেই বাড়ির পথেই হাঁটেন মাইকেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন