পিছিয়ে দিন ব্রেক্সিট, মে-কে বলল পার্লামেন্ট

ব্রেক্সিট সমস্যা যে সহজে মিটবে না, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সব দলের এমপিই। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভোটাভুটিতে বিপুল ভোটে জিতে গেল ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০২:২৬
Share:

ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র গলার কাঁটা হয়েই রইল।—ছবি রয়টার্স।

ব্রেক্সিট সমস্যা যে সহজে মিটবে না, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সব দলের এমপিই। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভোটাভুটিতে বিপুল ভোটে জিতে গেল ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব।

Advertisement

পক্ষে পড়েছে ৪১২টি, বিপক্ষে ২০২টি ভোট। ফলে স্পষ্ট, দলমত নির্বিশেষে এমপি-রা ব্রেক্সিট ২২ মে পর্যন্ত পিছোতে চান। কিন্তু পার্লামেন্টে পাশ হয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর ২৭টি দেশকেও মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিতে হবে। এখন একটা শেষ চেষ্টা করে দেখতে চান টেরেসা। তাই দলের ব্রেক্সিটপন্থী সদস্যদের উপরে চাপ তৈরি করে তাঁর চুক্তিকে পার্লামেন্টে পাশ করানোর ঝুঁকি আবার নেবেন তিনি। আগামী সপ্তাহে সেই চুক্তি নিয়ে ফের ভোট হবে পার্লামেন্টে। যদি তাঁর চুক্তিতে সায় মেলে, তা হলে ২৯ মার্চ ব্রেক্সিটে আর বাধা থাকবে না। না হলে, ইইউ-এর দরবারে গিয়ে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।

একই সঙ্গে আজ আরও দু’টি ভোট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। লেবার এমপি হিলারি বেন প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ব্রেক্সিট চুক্তি ঠিক করে দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। অর্থাৎ চুক্তির প্রতিটি ধারা-উপধারা নিয়ে ভোট হোক। সেই অনুযায়ী তৈরি করা হবে চুক্তি। সেই প্রস্তাব মাত্র দু’টি ভোটে বাতিল হয়ে যায়। আর একটি প্রস্তাব উঠেছিল— ফের গণভোটের। বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন-সহ বেশির ভাগ এমপি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য নয়া চুক্তি নিয়ে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় বারের জন্য পার্লামেন্টের মুখোমুখি হতে চান মে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কনজ়ারভেটিভ দলের এমপি-দের চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষেই ভোট দিতে বলেছিলেন টেরেসা। তবুও পাঁচ কনজ়ারভেটিভ এমপি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটেই সায় দেন। এই এমপি-সহ তাঁর দলের মোট ১৩ সদস্য চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে সায় দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ১৩ জন তাঁর নির্দেশ অমান্য করলেও টেরেসা তাঁদের বরখাস্ত করতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখন এতটাই দুর্বল অবস্থান তাঁর। ব্রিটেনের রাজনীতি এ ভাবে টালমাটাল আগে কখনও হয়নি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন