প্রতীকী ছবি।
তথ্যকোষে চুরি হয়ে গিয়েছে বিলকুল! খবর আসে মাঝেমধ্যেই। ই-মেল, ব্যাঙ্ক বা হালফিলের আধার, কোথাও নিরাপদ নয় ব্যক্তিপরিসরের তথ্য। মার্কিন মুলুকে ও বিশ্বের অন্যত্র অনেকেই মাইস্পেস ছেড়েছেন এর আগে। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া উঠে গিয়েছে প্রায় একই কারণে। এ বারও বার্তা ছড়াচ্ছে, জীবনটা ছোট। ফেসবুক মোছো। প্রিয়জনদের বলো আমি তোমাদের ভালবাসি। সব কিছুকে প্রশ্ন করো। বেরিয়ে পড়ো। অনুভব করো জগতটাকে।
মজার কথা এটাই, প্রকাশ্যে ফেসবুক ছাড়ানোর এই আন্দোলনটা যাদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে, তারাও কিন্তু সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তথ্য এখন তেলের চেয়েও দামি। যে, যে ভাবে পারছে, মাছ ধরছে তথ্যসাগরে। নিজেদের মতো করে কাজে লাগাচ্ছে। এ লাইনের এক দল কর্তা মাঠে নেমে মত প্রচার করছেন, ফেসবুক কোনও শর্তভঙ্গ করেনি। আর একটি সোশ্যাল সাইটে আবার কটাক্ষ, হ্যাশট্যাগ দিয়ে আর একটি সোশ্যাল মিডিয়া (টুইটার) এখন তাদের বিপুল সংখ্যক মানুষের তথ্য সংগ্রহ করছে। গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থার কর্তারা বলছেন, মানুষের তথ্য বরাবরই কাজে লাগানো হচ্ছে। নিস্তার পেতে সব সোশ্যাল সাইট থেকে, এমনকী অনলাইনে কেনাকাটা বা খোঁজাখুঁজি, ক্রেডিট কার্জ ব্যবহার, এমনকী অনলাইনে দাতব্য থেকেও থেকে সরে আসার ডাক দিচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: হুমকি জুকেরবার্গকে, জালে অবশ্য দু’দলই
অনেকেই মনে করেন কিছু এসে যায় না। কিন্তু ব্যপারটা যে মোটেই হাল্কা নয় তা বোঝা যায় কয়েক বছর আগে ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট-প্রচারে যুক্ত থিওডর গ্রুনওয়াল্ড তাতে কবুল করেছিলেন, ‘‘ফেসবুকই সব চেয়ে সফল মাধ্যম এই প্রচারে। ফেসবুক আমাদের হাত ধরে আছে। ওরা না থাকলে আমরা জিততেই পারতাম না। ওরা আমাদের ধারে ভারে এগিয়ে দিয়েছে।’’