চিনে গিয়ে পাক প্রেসিডেন্টের হাতে হাত নরেন্দ্র মোদীর

সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন বা এসসিও-র সম্মেলনে পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনের সঙ্গে মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক রাষ্ট্রপ্রধানদের মুখোমুখি হলেও মুখ ঘুরিয়ে থেকেছেন মোদী। এ বার কিন্তু দু’একটি সৌজন্যের কথা হল। হেসে করমর্দনও করলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

সৌজন্য: পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। রবিবার চিনে এসসিও-র সম্মেলনে। ছবি: রয়টার্স।

সৌজন্যের হাসি। কথা। সঙ্গে করমর্দনও।

Advertisement

সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন বা এসসিও-র সম্মেলনে পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনের সঙ্গে মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক রাষ্ট্রপ্রধানদের মুখোমুখি হলেও মুখ ঘুরিয়ে থেকেছেন মোদী। এ বার কিন্তু দু’একটি সৌজন্যের কথা হল। হেসে করমর্দনও করলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তার পরে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করল ভারত ও পাকিস্তান।

গত কাল চিনের কিনদাওয়ে প্রথম বারের জন্য এসসিও-অভিযান শুরু করেছিল ভারত। আজ সম্মেলনের শেষ দিনে সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় ইতিবাচক মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব হল। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্রধানত চিনের উদ্যোগে ভারতের মতো পাকিস্তানও এ বার সংযুক্ত হয়েছে এসসিও-তে। এই ঘোষণাপত্রের অন্যতম স্বাক্ষরকারী তারাও।

Advertisement

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনকে সঙ্গে নিয়ে আজ সন্ত্রাস প্রশ্নে সরব হয়েছে চিন-সহ সংগঠনের অন্য দেশগুলিও। চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের কথায়, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে এসসিও-র বৈঠকে গভীর আলোচনা হয়েছে। মত বিনিময় হয়েছে। সমস্ত সদস্য দেশই সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মাদক চোরাকারবারের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করার কথা বলেছে।’’ দুই নতুন সদস্য রাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তানকে স্বাগত জানিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের মানসিকতা আমাদের বর্জন করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার যুক্তিতে অন্য রাষ্ট্রগুলিকে বিপদের মুখে ফেলা চলবে না।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘আমরা এমন একটা সময়ে পৌঁছেছি যেখানে প্রত্যক্ষ ভাবে এবং বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ ভূগোলের সংজ্ঞাটাই বদলে দিচ্ছে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোটা এখন আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে।’’ বক্তৃতায় একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মোদী। আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের সব চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক শিকার হল কাবুল। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করি শান্তি স্থাপনের জন্য প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির নেওয়া পদক্ষেপগুলিকে এই অঞ্চলের সব দেশই স্বাগত জানাবে।’’

প্রশ্ন উঠেছে, ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত নিরসনে মোদী-মামনুন করমর্দন কি ইঙ্গিতবাহী? বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে এসসিও-র বৈঠকে সন্ত্রাসের বিষয়টি যে গুরুত্ব পেয়েছে, তাতে খুশি দিল্লি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement