ঘর হারিয়ে লোকালয়ে হামলা মেরু ভল্লুকদের

গরমে নাজেহাল দশা। পায়ের তলার ‘বরফটুকু’ হারাতে বসেছে তারা। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে মেরুপ্রদেশের বরফ গলছে যে! আস্তানার খোঁজে তাই মানুষের ডেরাতেই হানা দিচ্ছে মেরু ভল্লুকের দল। চিন্তায় ‘সভ্য সমাজ’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪১
Share:

বাড়িতে ঢুকে পড়েছে মেরু ভল্লুক। সোশ্যাল মিডিয়া

গরমে নাজেহাল দশা। পায়ের তলার ‘বরফটুকু’ হারাতে বসেছে তারা। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে মেরুপ্রদেশের বরফ গলছে যে! আস্তানার খোঁজে তাই মানুষের ডেরাতেই হানা দিচ্ছে মেরু ভল্লুকের দল। চিন্তায় ‘সভ্য সমাজ’।

Advertisement

নোভায়া জ়িমলিয়া রাশিয়ার উত্তরপূর্বের একটি দ্বীপপুঞ্জ। তিন হাজার মানুষের বাস সেখানে। শনিবার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। একটি বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, খাবারের খোঁজে দ্বীপ আক্রমণ করেছে হিংস্র মেরু ভল্লুকের দল। ডজনখানেকেরও বেশি ক্ষুধার্ত পশু জনবসতি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা। রুশ প্রশাসন এখনও গুলি চালানোর অনুমতি দেয়নি। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীটিকে ‘শিকার’ রাশিয়ায় নিষিদ্ধ। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়েছে। একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে ওই দ্বীপপুঞ্জে।

প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫২টি মেরু ভল্লুক হামলা করেছে ওই দ্বীপপুঞ্জে। তার মধ্যে কয়েকটির আচরণ ‘যথেষ্টই ভয়ঙ্কর’ বলে জানালেন স্থানীয় আধিকারিক আলেকজান্দর মিনায়েভ। বললেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে ৬ থেকে ১০টি ভল্লুক ঘুরে বেড়াচ্ছে বসতি এলাকায়। লোকজন ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা।’’

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষকর্তা ঝিগানশা মুসিনের কথায়, ‘‘১৯৮৩ সাল থেকে এখানে আছি। কখনও এত মেরু ভল্লুক এক সঙ্গে দ্বীপে ঘুরতে দেখিনি। সংখ্যাটা অকল্পনীয়।’’ জানালেন, সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়েছে, রীতিমতো তাড়া করছে লোকজন দেখলে। রাস্তাঘাটে গাড়ি দেখে তারা ভয় পাচ্ছে না। পাহারাদার কুকুর দেখেও পরোয়া করছে না। এ দিকে, গুলি চালানোর অনুমতি নেই। তবে প্রশাসনের একাংশই বলছে, এ ভাবে চললে গুলি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement