সেই ১৯৯০ থেকে টেলিভিশনের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই তাঁর। এমনকী নিজের প্রিয় ফুটবল দলের খেলাও দেখার জো নেই তাঁর।
বরাবরই বুয়েনস আইরেস-এর ফুটবল দল সান লোরেন্জো দ্য আলমাগ্রোর ভক্ত পোপ ফ্রান্সিস। তবে ২৫ বছর ধরে সেই প্রিয় দলের খেলাও দেখেননি তিনি। ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই যে!
তবে কেন এমন আত্মত্যাগ?
এ প্রসঙ্গে পোপ জানালেন, তিনি যে ঈশ্বরের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! তবে এই প্রতিশ্রুতির পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ বলেন, ‘‘সেই ১৯৯০ সালের ১৫ জুলাইয়ের রাতে আমি ঈশ্বরের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। সে দিন নিজের কাছেও প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ও সব আমার জন্য নয়।’’
টিভি দেখেন না ঠিকই। তবে খেলার ফলাফল জানতে দোষ কী? তাই ফুটবলপ্রেমী পোপকে খেলার খবর জানানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁরই এক নিরাপত্তারক্ষী। প্রতি ম্যাচের পর ফলাফল জানিয়ে দেন ওই নিরাপত্তারক্ষী।
শুধু টিভিই দেখেন না, তা নয়। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেটও ব্যবহার করেন না পোপ। দেশ-বিদেশের খবর জানতে তাই একমাত্র ভরসা খবরের কাগজ। তাও সকালে মাত্র ১০ মিনিটের জন্যই। কারণ দায়িত্বের ভারে অবসরই যে পান না পোপ।
মাত্র দু’বছর আগেই পোপের দায়িত্ব কাঁধে এসেছে। আর সময়ের সঙ্গে কাজের চাপও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, জীবনে যে কখনও পোপ হবেন, সে কথা স্বপ্নেও ভাবেননি। এত দায়িত্ব যে তাঁর কাধে আসবে, সেটাও তাঁর ধারণাতীত ছিল। তবে এমন ব্যস্ত জীবনযাপনে রীতিমতো বিরক্তও পোপ ফ্রান্সিস।
এত কাজের মধ্যেও আগের দিনগুলিতে ফিরে যাওয়ার সুপ্ত ইচ্ছে যে তাঁর মনে রয়েছে, সে কথা স্পষ্টই জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে, স্বাধীন ভাবে শান্ত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে চান তিনি। আর পিৎজায় কামড় বসানোর ইচ্ছেটাও যে মাঝে মাঝেই মনের কোণে উঁকি দিয়ে যায়, সে কথাও জানাতে ভোলেননি পোপ ফ্রান্সিস।