বারাক ওবামার আমলে সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে হয়েছিল খানিকটা। কিন্তু গত জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পরেই দু’দেশের সম্পর্ক শোধরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেইমতো ফের বন্ধুত্বের রাস্তায় হাঁটা শুরু করেছে আমেরিকা ও সৌদি আরব। এ বার আমেরিকায় সৌদি দূত বদলালেন সৌদি রাজা সলমন বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ। নিজের এক ছেলেকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে এটা এক নতুন পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। নতুন মার্কিন দূত এক জন দক্ষ পাইলট। সৌদি বায়ুসেনার সদস্যও।
গত কাল সৌদি রাজা একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মন্ত্রিসভায় রদবদল, তেমনই রয়েছে সিভিল সার্ভিসের ক্ষেত্রে পুরনো সুযোগ-সুবিধা বহাল করা। কাল সৌদির সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রিন্স আবদুল্লা বিন ফয়জল বিন তুর্কিকে সৌদি দূতের পদ থেকে সরানো হয়েছে। এখন থেকে প্রিন্স খালেদ বিন সলমন বিন আবদুলাজিজ ওয়াশিংটনে সেই দায়িত্বভার সামলাবেন। বিন ফয়জল ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে আমেরিকায় সৌদি দূতের পদ সামলেছেন। তাঁকে সরানোর পাশাপাশি দেশের সামরিক ক্ষেত্রেও বদল ঘটিয়েছেন সৌদি রাজা। দেশের সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইদ আল-শালউইকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন ফাহাদ বিন তুর্কি। একই সঙ্গে কাল সৌদি রাজা পদ থেকে সরিয়েছেন দেশের সিভিল সার্ভিস মন্ত্রী এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীকেও।
রিয়াধের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বন্ধুত্ব কয়েক দশকের। আমেরিকাকে বহু বছর ধরে তেলের জোগান দিয়ে আসছে সৌদি আরব। বদলে আমেরিকা নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে সৌদি আরবকে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরির আমলে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। বারাক ওবামা রিয়াধের বদলে তার প্রতিবেশী তেহরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার নজর দেন। দূরত্ব বাড়ে রিয়াধের সঙ্গে ওয়াশিংটনের। ট্রাম্প অবশ্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক শোধারনোর বার্তা দিয়েছেন। নিজের ছেলেকে দূত করে সৌদি রাজাও সেই পথেই হাঁটলেন বলে মনে করা হচ্ছে।