Donald Trump

ইমপিচের প্রস্তাব পেশ হয়তো আজ

হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগেই জানিয়েছেন, ক্যাপিটলে হামলার পরে ট্রাম্প নিজে থেকে ইস্তফা না-দিলে তাঁকে ইমপিচ করার পথেই হাঁটবেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৪৯
Share:

ফাইল চিত্র।

সব ঠিক থাকলে আগামিকালই হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা হচ্ছে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। হাউসের অন্যতম সদস্য টেড লিউ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৯০ জনের বেশি সদস্য এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। হাউসে ভোটাধিকার রয়েছে ৪৩৫ জনের।

Advertisement

হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগেই জানিয়েছেন, ক্যাপিটলে হামলার পরে ট্রাম্প নিজে থেকে ইস্তফা না-দিলে তাঁকে ইমপিচ করার পথেই হাঁটবেন তাঁরা। প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে তাঁকে সরিয়ে দিতে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করা যায়। তার জন্যও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটির খসড়া তৈরিতে ক্যালিফর্নিয়ার কংগ্রেস সদস্য লিউয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ট্রাম্প যে জনতাকে ক্যাপিটলে হামলা চালাতে উস্কেছিলেন, তার প্রমাণ রয়েছে ভিডিয়ো ফুটেজে।

রিপাবলিকানরা কেউ এখনও ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে সই করেননি। তবে ট্রাম্পকে নিয়ে দলের অসন্তোষ স্পষ্ট। রিপাবলিকান সেনেটর প্যাট টুমি যেমন বলেই দিয়েছেন, ট্রাম্প ইমপিচড হওয়ার মতো অন্যায়ই করেছেন। একটি চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘‘হাউস বিষয়টাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক রং দেবে কি না, সেটা নিয়েই আমার চিন্তা। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট এমন অপরাধ করেছেন, যাঁতে তাঁকে ইমপিচ করা যায়। কিন্তু সেনেটে কী হবে, বলতে পারছি না।’’

Advertisement

ইতিমধ্যে পেলোসি তাঁর সতীর্থ ডেমোক্র্যাটদের একটি চিঠি দিয়ে বলেছেন, ‘‘এই সপ্তাহের মধ্যেই ওয়াশিংটনে ফেরার জন্য তৈরি থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাদের। আমাদের গণতন্ত্রকে যারা অপবিত্র করেছে, তাদের দোষী সাব্যস্ত করা অবশ্য প্রয়োজন।’’ যদিও ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি কবে হবে, তা স্পষ্ট করেননি পেলোসি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমবার প্রস্তাব পেশ হলে হাউসে ভোটাভুটি হতে পারে বুধবার। প্রস্তাব পাশ হলে সেনেটে শুনানি হবে। প্রেসিডেন্ট দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে পদ ছাড়তে হবে।

এমনিতে প্রেসিডেন্টকে সরতে হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্যভার নেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বেলায় হয়তো সেই সুযোগ পাবে না বিদায়ী প্রশাসন। কারণ, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনেটের অধিবেশন মুলতুবি রয়েছে। অতএব ২০ জানুয়ারির আগে শুনানি শুরুর সম্ভাবনা কার্যত নেই। আর সেই দিনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নিয়ে ফেলছেন। তবে তার পরেও দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে ট্রাম্পের কোনও সরকারি পদে থাকা বা পরবর্তী নির্বাচনে লড়ার পথে বাধা তৈরি হবে।

বাইডেন নিজে অবশ্য ভোটাভুটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা নেবে।’’ আর পেলোসির বক্তব্য, ট্রাম্প যা করেছেন, তা এতটাই গুরুতর যে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তাকে পেলোসি আর্জি জানান, শাসনকালের শেষ কয়েকটা দিনে ‘অপ্রকৃতিস্থ’ ট্রাম্পের হাতে যেন পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের চাবিকাঠি না-থাকে।

রবিবার ভ্যাটিকান থেকে নেতৃবর্গকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান পোপ ফ্রান্সিস। এ দিন ক্যাপিটল হামলায় নিহতদের উদ্দেশে আয়োজিত এক প্রার্থনাসভা থেকে এই বার্তা দেন পোপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন