স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে প্রতিবাদ, ধৃত কৃষ্ণাঙ্গী

গত কাল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্কে। সবার নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই মহিলা স্ট্যাচু-তে উঠলেন, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

উদ্ধার: মহিলাকে নামানোর চেষ্টা পুলিশের। নিউ ইয়র্কে। এএফপি

আটক শরণার্থী শিশুদের মুক্তি চেয়ে প্রতিবাদ জানাতে তিনি উঠেছিলেন ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র উপরে। সেই অপরাধে প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ এবং শেষে হেফাজতে ঠাঁই হল টেরেস প্যাট্রিশিয়া ওকুমু নামে ওই কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার।

Advertisement

গত কাল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্কে। সবার নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই মহিলা স্ট্যাচু-তে উঠলেন, তা স্পষ্ট নয়। টানা তিন ঘণ্টা ধরে তিনি মূর্তির নীচের অংশ পেরিয়েছেন। স্ট্যাচুর পোশাক এবং লেডি লিবার্টির স্যান্ডালেও কিছু ক্ষণ বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজে সে সব দৃশ্য ধরা পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে নীচে নামানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাতে কান দেননি। একটা সময়ে রীতিমতো টেনেহিঁচড়ে আনতে হয় তাঁকে।

টেরেসের দাবি ছিল, বাবা-মায়ের কাছ থেকে টেক্সাসে বিচ্ছিন্ন সব শরণার্থী শিশুকে মুক্তি দেওয়া না হলে তিনি নড়বেন না। নিউ ইয়র্ক পুলিশ দফতরের ১৬ অফিসার (জরুরি পরিষেবার দায়িত্বে থাকা) তাঁকে সরাতে নেমে পড়েন। ব্রায়ান গ্লাকেন নামে এক অফিসার বলছেন, ‘‘উনি প্রথমে একেবারেই সহযোগিতা করেননি। পরে ধীরে ধীরে কথা বলে ওঁকে বোঝানো হয়।’’

Advertisement

টেরেস প্রথমে অফিসারদেরই ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন বলে দাবি পুলিশের। মইটিও ঠেলে দেন। শেষমেশ দড়ি বেঁধে অফিসাররা এগিয়ে যান। অফিসাররা জানান, পরে অবশ্য টেরেস তাঁদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। হেফাজতে থাকা টেরেসকে এর পরে ম্যানহাটনের মার্শাল অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে।

যে সংস্থার প্রতিনিধি টেরেস, সেই ‘রাইজ অ্যান্ড রেজিস্ট’ জানায়, স্ট্যাচু অব লিবার্টি’-তে উঠে প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচি তাদের ছিল না। পুলিশের বক্তব্য, ওই চত্বরে থাকা আরও ৭ বিক্ষোভকারী উস্কে দেন টেরেসকে। তিনি স্ট্যাচুতে ওঠার আগে বিক্ষোভকারীরা ‘আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) ধ্বংস হোক’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওই সাত জনকেও গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন