রাহুল আনন্দ। —ফাইল চিত্র।
দু’বছর আগে ঢাকায় এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ‘জলের গান’ ব্যান্ডের প্রধান গায়ক রাহুল আনন্দের স্টুডিয়ো দেখতে গিয়েছিলেন। রাহুলের সঙ্গে মিলে বাজনাও বাজিয়েছিলেন। জুলাই বিদ্রোহের পরে দেশছাড়া রাহুল আনন্দ এখন মাকরঁ-র দেশেই বাস করছেন। ফ্রান্স তাঁর নতুন ঠিকানা।
গত বছর ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পরপরই ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে অগ্নিসংযোগের খবর মেলে। তাতে পোড়ে পাশে রাহুলের বাড়িও, যেটিকে ‘ভাঙাবাড়ি’ নামে ডাকতেন তিনি। তাঁর বাদ্যযন্ত্রের পুরো সংগ্রহটাও পুড়ে যায়। রাহুল কিন্তু জুলাই আন্দোলনকে সমর্থনই করেছিলেন। তবু জনতার আক্রমণ থেকে তাঁর বাড়িটি বাঁচেনি। সপরিবার প্রায় এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয় তাঁকে। এর মধ্যে বেশ কিছু কনসার্টে অংশ নিয়েছে তাঁর দল। শুধু রাহুল ছিলেন না সেখানে।
২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ‘জলের গান’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র রাহুল ছবি আঁকার চেয়েও বেশি গানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। জড়িত ছিলেন নাটকের সঙ্গেও। এক সময় ওই ‘ভাঙাবাড়ি’তে বসেছে বহু সাংস্কৃতিক আড্ডা, বহু গান ওই বাড়িতে বসেই বেঁধেছেন রাহুলরা। বাড়িটিকে স্টুডিয়ো হিসেবে ব্যবহার করতেন তাঁরা। রেকর্ডিং, মিক্সিং, এডিটিং সব কাজই সেখানে হত। সবই ছেড়ে চলে যেতে হল। স্ত্রী ঊর্মিলা শুক্ল ও কিশোর সন্তান তোতাকে নিয়ে এখন ফ্রান্সে থাকছেন রাহুল। নিরাপদে আছেন। সেখানকার বাঙালি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সূত্রে খবর, বাড়ি ও প্রিয় বাদ্যযন্ত্রগুলো হারানোর বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনও দগদগে তাঁর হৃদয়ে। দেশ ছাড়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে