‘অনেকেই তেহরান আর মস্কোর সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে’! নাম না-করে আমেরিকা আর ইজ়রায়েলকেই তোপ দাগল রাশিয়া? —ফাইল চিত্র।
অনেকেই ইরান এবং রাশিয়ার সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ‘টাইমস অফ ইজ়রায়েল’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পেসকভ বলেন, “অনেক মানুষ তেহরান এবং মস্কোর সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে।” তবে নির্দিষ্ট কারও নাম করেননি ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের মুখপাত্র। তবে মনে করা হচ্ছে আদতে আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলকেই নিশানা করতে চেয়েছেন পেসকভ।
একই সঙ্গে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানোর জন্য আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলের নিন্দাও করেন পেসকভ। মস্কো আগেই জানিয়েছিল, এই হামলা শুধু ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ই নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনেরও বিরোধী। রবিবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘‘এত দিনে এটা স্পষ্ট যে, ভয়াবহ উত্তেজনা বৃদ্ধি শুরু হয়ে গিয়েছে, যা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে আরও বিঘ্নিত করে। আমেরিকার এই হামলা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এতে আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘিত হয়েছে।’’ গত সপ্তাহে ইজ়রায়েল-ইরান সংঘাতের অবসানে মধ্যস্থতা করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন পুতিন। তিনি বলেছিলেন, মস্কো এমন একটি মীমাংসা আলোচনায় সাহায্য করতে পারে যা তেহরানকে শান্তিপূর্ণ ভাবে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং একই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে ইজ়রায়েলের উদ্বেগও প্রশমিত করবে। কিন্তু তার আগেই ইরানে হামলা চালায় আমেরিকা।
রবিবারই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছিলেন, ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বুশেহরে ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণেও সহায়তা করেছিল রাশিয়া। কিন্তু ইজ়রায়েলের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ নয়। পুতিন বলেন, ‘‘ইরানের সঙ্গে মস্কোর যেমন শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনই উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে ইজ়রায়েলের সঙ্গেও।’’