Donald trump

ট্রাম্পকে জেতাতে মদত দিয়েছিল রাশিয়া, জানাল সিআইএ

অভিযোগ ছিলই। এ বার তাতে সিলমোহর দিল সেন্ট্রাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। তাদের পেশ করা রিপোর্টে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ রয়েছে বলে বেশ কয়েক জন মার্কিন সেনেটরকে ব্রিফিং-এ জানিয়েছে সিআইএ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৫২
Share:

অভিযোগ ছিলই। এ বার তাতে সিলমোহর দিল সেন্ট্রাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। তাদের পেশ করা রিপোর্টে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ রয়েছে বলে বেশ কয়েক জন মার্কিন সেনেটরকে ব্রিফিং-এ জানিয়েছে সিআইএ। কয়েক দিন আগেই এই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচন চলাকালীন সাইবার অ্যাটাকগুলিকে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে দাবি উঠতে শুরু করেছে। যদিও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “এরাই এক সময়ে সাদ্দামের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে বলে জানিয়েছিল। অনেক দিন আগেই নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ইলেক্টোরাল কলেজে সবচেয়ে বড় জয় এসেছে। এ বার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’-এর পথে এগিয়ে যেতে হবে।”

Advertisement

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বার বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যে বারাক ওবামার থেকে পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশি যোগ্য বলে মনে করেন তা জানাতেও দ্বিধা করেননি ট্রাম্প। উল্টো দিকে ট্রাম্প সম্পর্কে তাঁর সদর্থক ভাবনা লুকিয়ে রাখেননি পুতিনও। পুতিন প্রকাশ্যে ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে তাঁর সুবিধা হবে বলেও জানিয়েছেন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং তার আগে ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। ওবামা এবং পুতিনের পারস্পরিক সম্পর্ক এতে বেশ ধাক্কা খায়।

আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষায় আমেরিকার ‘বন্ধু’ ভারত

Advertisement

কিন্তু পুতিনের সমর্থন এখানেই থেমে থাকেনি। এই নির্বাচনী প্রচার চলকালীন উইকিলিকস ডেমোক্র্যাটিক দলের ন্যাশনাল কনভেনশনের নানা গোপন তথ্য ফাঁস করতে থাকে। সেই তথ্য দেখা যায় ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী পদে হিলারি ক্লিন্টনকে নির্বাচিত করার সময়ে নানা ভাবে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছিল। এর ফলে হিলারি ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা বাম ঘেঁষা বার্নি স্যান্ডার্সকে সরে যেতে হয়। সিআইএ সেনেটরদের জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক দলের কম্পিউটার সার্ভারে হামলা চালিয়ে এই তথ্য বের করা হয়। এই হামলাগুলি হয়েছিল রাশিয়া থেকে। এবং এই হামলার পিছনে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সরাসরি না হলেও ঘুরপথে রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এই তথ্যগুলি বার করে উইকিলিকসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে উইকিলিসক ধারাবাহিক ভাবে হিলারির বিরুদ্ধে নানা গোপন তথ্য ফাঁস করে গিয়েছে। পরে যা হিলারির নির্বাচনী হারের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছিল।

গুপ্তচর বৃত্তির সাধারণ নিয়ম মেনে এ ক্ষেত্রে সরাসরি রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা অংশ নেয়নি। সিআইএ জানিয়েছে, মিডিলম্যানের মাধ্যমে পুরো অপারেশনটি চালানো হয়েছিল। সিআইএ-র মতে মস্কো সাধারণত এই ভাবেই কাজ করে। এবং অপারেশনের ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে দুই প্রার্থীর মধ্যে ট্রাম্পই মস্কোর পচ্ছন্দের। সিআইএ-র মতে, ডেমোক্র্যাট দলের মতো রিপাবলিকাল দলের সার্ভারেও ঢুকে পড়েছিল হ্যাকাররা। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও কোনও তথ্য ফাঁস করা হয়নি।

তবে মার্কিন প্রশাসনের একাংশেই সিআইএ-এর এই মত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই হ্যাকারদের যে মস্কোই নির্দেশ দিয়েছিল তার ঠিকঠাক প্রমাণ সিআইএ পায়নি বলেই তাঁদের মত। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়াও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন