Russia

Russia-Ukraine War: রাইফেল কাঁধে গোলাপ বিনিময়, কিভের যুদ্ধক্ষেত্রে কেক-শ্যাম্পেনে বিয়ে ভ্যালেরি-লেসিয়ার

অতিথি হিসেবে বর কনেকে আশীর্বাদ করলেন কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিটশেঙ্কো। তিনি বললেন, ‘‘প্রতিটি ইউক্রেনবাসীর একটাই আবেদন, দয়া করে যুদ্ধ বন্ধ করুন, সাধারণ মানুষের মৃত্যু আটকান। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের চেয়ে ভাল জিনিস আর কী হতে পারে!’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিভ শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

‘লাভ ইন দ্য টাইম অব ওয়র’ ছবি— এএফপি।

গত দু’দশক ধরেই তাঁরা এক সঙ্গে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক বিয়েটা ঠিক করে ওঠা হয়নি। দেশ বাঁচাতে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পর প্রথম বার বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন লেসিয়া আর ভ্যালেরি। কী জানি আর ক’দিন হাতে সময়! হাতে পাঁজি, মঙ্গলবার। কিভের যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়েই কেক-শ্যাম্পেনে বিয়ে সারলেন ভ্যালেরি ফিলিমোনোভ ও লেসিয়া ইভাসচেঙ্কো। সাদা গোলাপ আর সোনার আঙটি বিনিময়ের পর আনু্ষ্ঠানিক দম্পতি হলেন তাঁরা। কেক, শ্যাম্পেন আর সঙ্গীতে মেতে উঠলেন রাশিয়ার আক্রমণ থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে নামা সৈনিকরা।

Advertisement

— টুইটার থেকে

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, পরনে সেনার উর্দি। কিন্তু হাতে বন্দুক নয়, রয়েছে ফুলের তোড়া! বাহিনীর হেলমেটের পরিবর্তে নজর কাড়ছে মাথার সাদা ওড়নাটিও! বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়েছে কোনও গির্জায় নয় বরং যুদ্ধের সাজে সেজে ওঠা ইউক্রেনের রাজধানী কিভের কোনও এক প্রান্তে। অতিথি হিসেবে বর কনেকে আশীর্বাদ করলেন কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিটশেঙ্কো। তিনি বললেন, ‘‘প্রতিটি ইউক্রেনবাসীর একটাই আবেদন, দয়া করে যুদ্ধ বন্ধ করুন, সাধারণ মানুষের মৃত্যু আটকান। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের চেয়ে ভাল জিনিস আর কী হতে পারে!’’
আচমকা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দম্পতিও আনন্দে আটখানা। হাতের গোলাপের তোড়া সামলাতে সামলাতে বলছেন, ‘‘এক সঙ্গেই তো থাকতাম। তাই আলাদা করে এত দিন বিয়ে করার প্রয়োজনটাই বোধ করিনি। কিন্তু কী জানি, কাল কী হয়। হাতে সময় যে বড্ড কম। তাই বিয়েটা সেরেই ফেললাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন