Wang Yi

ব্রিকসের মঞ্চে ওয়াং-জয়শঙ্কর

পূর্ব লাদাখে চিনা সেনা আগ্রাসন থেকে শুরু করে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রউফকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি আটকে দেওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫০
Share:

ওয়াং ই এবং এস জয়শঙ্কর। — ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে দেখা হবে কিনা অনিশ্চিত। কিন্তু আজ ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে একই মঞ্চে দেখা গেল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে। বৈঠকের পরে যে যৌথ বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার মতো প্রতিটি বিষয়কেই বিশদে রাখা হয়েছে। নাম না-করে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত পরিসমাপ্তি এবং দুই পক্ষকে কূটনীতির পথে ফেরার আবেদনও রয়েছে ওই বিবৃতিতে। বৈঠকে অন্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-ও।

Advertisement

পূর্ব লাদাখে চিনা সেনা আগ্রাসন থেকে শুরু করে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রউফকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি আটকে দেওয়া। এই বিভিন্ন তিক্ততার কারণে বেজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি ঘটছে নয়াদিল্লির। চলতি নিউ ইয়র্ক সফরে চিনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন জয়শঙ্কর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবং আজকের উত্তপ্ত ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাস প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট বিদেশমন্ত্রীরা কড়া ভাষায় সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেছেন। তা সে যেই করুক না কেন বা যে কোনও কারণেই করুক না কেন। সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং চরমপন্থার থেকে যে বিপদ তৈরি হচ্ছে, তা উল্লেখ করে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ-সহ সমস্ত রকমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন মন্ত্রীরা। কোনও জাতি, ধর্ম, দেশের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে এক করা চলে না বলেই তাঁরা মনে করেন। জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান তৈরি করা অথবা সন্ত্রাসে পুঁজি জোগানো বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে।’ পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে বেজিংয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভারত। সূত্রের খবর, আজ সেই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সরব হন।

Advertisement

পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাম না-করে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রীরা সমস্ত রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার প্রশ্নে জোর দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতবিরোধ ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে আলোচনার কথা বলেছেন।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement