ইরানের পক্ষে স্বস্তির খবর। প্রায় এক দশক পর তেহরানের ওপর থেকে যাবতীয় অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নিল রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
তেহরান সরকার গোপনে পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র বানাচ্ছে কি না বা তার জন্য পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে কি না, যারা তার ওপর নজর রাখছিল, সেই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানিয়েছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তেহরান সেই চুক্তির সবকটি শর্তই পুরোপুরি ভাবে মেনে চলেছে। তাই তার ওপর আর অর্থনৈতিক অবরোধ বলবৎ থাকা উচিত নয়।
চুক্তির শর্ত মানতে গিয়ে ইরানকে তার মজুত করা তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের প্রায় পুরোটাই তুলে দিতে হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হাতে। দিন কয়েক আগে মূলত আমেরিকার তত্ত্বাবধানে রুশ জাহাজে চাপিয়ে যে প্লুটোনিয়াম ইরান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ইরান এখন সব দেশেই তার ইচ্ছা মতো দামে ও পরিমাণে তেল বেচতে পারবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দৃশ্যতই খুশি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রওহানি বলেছেন, ‘‘ইরান বিশ্বে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।’’