নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগি।—ছবি এএফপি
তুরস্ক, আমেরিকার পাশাপাশি সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনে এ বার সৌদি আরবের উপর চাপ বাড়াল কানাডা, ব্রিটেনও।
সৌদি রাজ পরিবারের দিকে আঙুল উঠছে দেখে গো়ড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি যুবরাজের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও, আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই সুর পাল্টেছে ওয়াশিংটন। খুনের চল্লিশ দিন পরেও খাশোগির দেহ মেলেনি। গত কাল ফোনে এ নিয়ে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। একই সঙ্গে সাংবাদিক-খুনে জড়িত প্রত্যেকের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট হঁশিয়ারি দিয়েছেন— কাউকে যেন ছাড়া না হয়।
ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খুনের দিন খাশোগির সঙ্গে যা ঘটেছিল, তার অডিয়ো ক্লিপ তাদের হাতে আছে বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে তুরস্ক। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আজ প্যারিস থেকে জানালেন, সেই সব ক্লিপ তাঁর দেশের গোয়েন্দা বিভাগ শুনেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষের একশো বছরের উৎসবে যোগ দিতে প্যারিসে গিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোয়ানও। খাশোগি-টেপ কয়েকটি দেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছিলেন তিনি। কানাডাই প্রথম তার ‘প্রাপ্তিস্বীকার’ করল।
আরও পড়ুন: অকাল ভোটের বিরোধিতায় কোর্টে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন দল
সাংবাদিক খুনের তদন্তে রিয়াধের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ব্রিটেনও। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট আজই রিয়াধে পৌঁছে রাজা সলমনের সঙ্গে দেখা করেন। যুবরাজের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। সাংবাদিকদের জেরেমি বলেন, ‘‘কনসুলেটের মধ্যে সাংবাদিকের এ ভাবে খুন এবং দেহ লোপাট হওয়াটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সৌদিকে আমরা তুরস্কের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আর্জি জানিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: পেন্সের সঙ্গে আলোচনা, সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সৌদির লড়াইয়ে এত দিন পাশেই থেকেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। বিশেষত অস্ত্র সরবরাহে। এ বার সেখানেও সুর কাটছে। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি বিমানকে তারা আর মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে দেবে না। ইয়েমেনে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে কথা শুরু করতে চায় ব্রিটেন। রিয়াধে বসে ব্রিটিশ মন্ত্রী আজ তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।