‘কাজ খতম। বস-কে জানিয়ে দিন!’

ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেট থেকে গত ২ অক্টোবর এমনই বার্তা গিয়েছিল রিয়াধে। ‘কাজ খতম’ মানে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে খুন। কিন্তু ‘বস’ কে? 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইস্তানবুল শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৩
Share:

খাশোগি-খুনের অডিয়ো-ক্লিপ ধরে নিজেদের মতো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। ছবি: এএফপি।

ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেট থেকে গত ২ অক্টোবর বার্তা গিয়েছিল রিয়াধে, ‘কাজ খতম। বস-কে জানিয়ে দিন!’

Advertisement

‘কাজ খতম’ মানে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে খুন। কিন্তু ‘বস’ কে?

খাশোগি-খুনের অডিয়ো-ক্লিপ ধরে নিজেদের মতো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। আমেরিকা তো বটেই, সম্প্রতি এমন কিছু ‘প্রমাণ’ কানাডা-সহ বেশ কিছু দেশের হাতে তুলে দিয়েছে আঙ্কারা। সেই সূত্র ধরেই আজ এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম দাবি করল, সে দিন টেলিফোনে ওই বার্তা গিয়েছিল সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কাছেই। তুরস্কের দাবি, রিয়াধকেও ওই ক্লিপ তারা শুনিয়েছে। সৌদি রাজপরিবার যদিও গোড়া থেকে বলে আসছে, সাংবাদিক খুনের ব্যাপারে রাজা বা যুবরাজ কিছুই জানেন না। সে দিন যা হয়েছিল, তা নিছকই দুর্ঘটনা। কনস্যুলেটে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি এবং তার জেরেই প্রাণ গিয়েছিল খাশোগির। অথচ ঘটনার ৪০ দিন পরেও সাংবাদিকের দেহ মেলেনি।

Advertisement

তুরস্ক তাই নাছোড়বান্দাই। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, খুনের পরে সাংবাদিকের দেহ টুকরো টুকরো করে তাতে অ্যাসিড ঢেলে নালায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাল এই খবর ছেপে আলোড়ন ফেলার পরে আজ ফের বোমা ফাটাল আঙ্কারার সরকার-ঘেঁষা কাগজ ‘সাবাহ’। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে রয়েছে কয়েকটি এক্স-রে ছবিও। যাতে দেখা যাচ্ছে, দু’টো ঢাউস ব্যাগে বোঝাই ছুঁরি-কাঁচি-ইঞ্জেকশন-সিরিঞ্জ-স্টেপলার। সঙ্গে ১০টা ফোন, ৫টা ওয়াকিটকি আর নেটওয়ার্ক জ্যাম করার যন্ত্র। কাগজটির দাবি, খাশোগিকে মারতে সে দিন রিয়াধ থেকে ১৫ জনের যে হিট স্কোয়াড এসেছিল, এ সব তাদেরই সম্পত্তি।

তুর্কি তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, মাহের আববদুলাজিজ মুতরেব নামের এক নিরাপত্তা আধিকারিক সেই স্কোয়াডের নেতৃত্বে ছিলেন। যাঁকে বহু বার সৌদি যুবরাজের সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গিয়েছে। অনুমান, তিনিই কনসুলেট থেকে রিয়াধে ফোন করে ‘বস’-এর কাছে ওই বার্তা পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।

তবে অডিয়ো ক্লিপের ওই ‘বস’ যে সৌদি যুবরাজই, এখনই তা মানতে নারাজ আমেরিকা। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে ওই ক্লিপিং শুনিনি। তবে যাঁরা শুনেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, সাংবাদিক খুনে সৌদি যুবরাজের নাম জড়ানোটা এখনই ঠিক হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন