International

পর পর আট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তাইল্যান্ড, হত ৪, জখম ২০

ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটটি বিস্ফোরণ ঘটেছে দক্ষিণ তাইল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে। বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ২০। তাঁদের মধ্যে ৯ জন বিদেশি পর্যটক। তাইল্যান্ডে পর্যটন স্থলগুলিকে নিশানা করে নাশকতার ঘটনা আগে তেমন দেখা যায়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ১২:২৮
Share:

বিস্ফোরণে রক্তাক্ত পর্যটন শহর হুয়া হিন। ছবি: রয়টার্স।

ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটটি বিস্ফোরণ ঘটেছে দক্ষিণ তাইল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে। বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ২০। তাঁদের মধ্যে ৯ জন বিদেশি পর্যটক। তাইল্যান্ডে পর্যটন স্থলগুলিকে নিশানা করে নাশকতার ঘটনা আগে তেমন দেখা যায়নি। তাইল্যান্ড সফররত ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে ওই দুই দেশের তরফে। জনবহুল স্থানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের পর্যটন শহর হুয়া হিনের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে। সেখানে ফুলের টবে বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। আধ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ২০ জন জখম হন। ওই ২০ জনের মধ্যেই ৯ জন বিদেশি নাগরিক। হুয়া হিন সেই অভিঘাত সামলানোর আগেই ফের বিস্ফোরণ। শুক্রবার সকালে আবার জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে সে শহরে। তাতে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

তাইল্যান্ডের আর এক বিখ্যাত পর্যটক আকর্ষণ ফুকেট দ্বীপও কেঁপে উঠেছে জোড়া বিস্ফোরণে। একটি বিচ রিসর্টে বিস্ফোরণ দু’টি হয়। তবে তাতে কেউ হতাহত হননি। বিস্ফোরণের খবর এসেছে দক্ষিণ তাইল্যান্ডের আরও দুই শহর ত্রাং এবং সুরাত থানি থেকে। ওই দুই শহরে মোট দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সে দেশের নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রের খবর, দক্ষিণ তাইল্যান্ডে সক্রিয় যে ইসলামি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন তাই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে, তারাই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। কিন্তু তাই প্রধানমন্ত্রী সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি, বলেছেন তাই প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি তৈরির জন্যই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আমাদের আর আতঙ্ক ছড়াতে দেওয়া উচিত নয়।’’ প্রায়ুত বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশ স্থিতিশীলতা, আরও ভাল অর্থনীতি এবং আরও ভাল পর্যটন ব্যবসার দিকে এগোচ্ছে। সেই কারণেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বসে ‘র’ সন্ত্রাস চালাচ্ছে পাকিস্তানে, দাবি ভীত পাক সেনার

তাইল্যান্ডের পর্যটন ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যে এই বিস্ফোরণের অন্যতম লক্ষ্য, তা বিস্ফোরণের জন্য বেছে নেওয়া এলাকাগুলি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। পর্যটকদের নিশানা করে এমন হামলা আগে তাইল্যান্ডে হয়নি। যে বিদেশি নাগরিকরা জখম হয়েছেন, তাঁরা জার্মান, ইতালীয়, ডাচ এবং অস্ট্রীয় নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন