night club

Indonesia: নাইট ক্লাবে আগুন, প্রাণ হারালেন ১৯

পুলিশ দফতরের মুখপাত্র আহমেদ রামাদান জানাচ্ছেন, গোটা ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। সে দিনই প্রথম ওই দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বেধেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জাকার্তা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দুই জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং অগ্নিকাণ্ড, দুয়ে মিলে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের সরং শহরে প্রাণ হারালেন ১৯ জন। একটি নৈশ ক্লাবে আগুন ধরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। ছুরিকাহত হয়েও প্রাণ গিয়েছে এক জনের। ওই ব্যক্তি সংঘর্ষে জড়ানো জনজাতির সদস্য। সংঘর্ষের সূত্রেই ক্লাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, না কি দুর্ঘটনাবশত আগুন লাগে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।

Advertisement

সরংয়ের পুলিশ দফতরের মুখপাত্র আহমেদ রামাদান জানাচ্ছেন, গোটা ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। সে দিনই প্রথম ওই দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বেধেছিল। বড়সড় কোনও ঝামেলার আগে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে দুই গোষ্ঠীর নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের ডেকে আলোচনা করে তখনকার মতো গোলমাল মিটিয়েও নেওয়া হয়। কিন্তু ঝামেলা যে পুরোপুরি মেটেনি, তা প্রমাণিত হয় গত কাল রাতে।

সরংয়ের পুলিশ প্রধান অ্যারি নিয়োতো সেতিয়াওয়ান আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত কাল রাত এগারোটা নাগাদ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। বোতল বোমা, চাপাতি, তির-ধনুক নিয়ে তাঁরা একে অপরকে আক্রমণ শুরু করেন। নৈশ ক্লাবটির মধ্যেও ওই দুই গোষ্ঠীর সদস্যেরা গোলমালে জড়ান বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে গিয়েছিলেন। যে বহুতলে নৈশ ক্লাবটি ছিল, তার দোতলা থেকে প্রথম আগুন ছড়ায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সাদা-লাল রঙের বাড়িটি প্রায় ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে ক্লাবের বাইরে দাঁড় করানো একটি গাড়িও।

Advertisement

কাল রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ক্লাবের ভিতরে আটকে থাকা অতিথিদের একে একে বার করে আনা হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে দেখা যায়, ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ১৮টি দেহ। আর এক জন ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত। অন্য দলের হামলাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা জড়িত নন বলেই দাবি করেছে সরংয়ের পুলিশ বিভাগ। কারা কারা ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন