ছবি: সংগৃহীত
২০২১-এর টোকিও অলিম্পিক্স পর্যন্ত সহজেই ক্ষমতায় থেকে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের অভাবে রবিবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে তাঁর লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
আবে-র জোট সরকারের প্রতি আস্থা কমছে মানুষের, বছরের শুরুতে এই ধরনের জল্পনা কপালে ভাঁজ বাড়িয়েছিল শাসক দলের। এ মাসের প্রথমে, সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই, সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনর্নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নেন আবে। সময়টা ভালই চিনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা সে সময় নেতৃত্বহীন, ছন্নছাড়া। অন্য দিকে, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন রুখতে আবে-র নেওয়া নীতিতে তুষ্ট ছিল জনতা। ক্রমশ পারদ চড়ানো কিম জং উনের সঙ্গে টক্কর দিতে এখনই নতুন কোনও নেতাকে দেখতে রাজি ছিলেন না জাপানবাসী। ফলে, সংবাদমাধ্যমের ভবিষ্যদ্বাণী সফল করে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হলেন শিনজো আবে।
সোমবার সকালেই ‘প্রিয় বন্ধু’ শিনজো আবেকে বিপুল জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, আগামী দিনে ইন্দো-জাপান সম্পর্কের বাঁধন আরও মজবুত হবে বলেই তাঁর আশা।
রবিবার রাতেই আবেকে ফোন করে অভিনন্দন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী মনোভাব কী ভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে দু’জনের বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয় বলে জানিয়েছেন জাপানের উপ-প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়াসুতোশি নিশিমুরা। আজ সাংবাদিক বৈঠকে আবেও জানান, এ বার পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ‘লড়াইয়ে’ আরও বেশি মন দেবেন তিনি। জনতা তাঁর সঙ্গে রয়েছে,জানার পরে মনোবল তুঙ্গে তাঁর।
গতকালই শক্তিশালী টাইফুন ল্যান আছড়ে পড়েছিল জাপানে। ঝড়ের দাপটে এখনও পর্যন্ত মৃত ৬, আহত বহু। মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ায় ভোট দিতে যেতেও পারেননি অনেকেই।