কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ মিছিলের সময় গুলি, ডালাসে হত ৫ পুলিশকর্মী

প্রতিবাদ মিছিলের আড়াল নিয়ে পুলিশের উপর গুলি চলল। আমেরিকার ডালাসে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ পুলিশ কর্মীর। আরও অন্তত ৬ জন জখম। পুলিশের গুলিতে পর পর দুই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু প্রতিবাদে মিছিল চলছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৬ ১১:৩০
Share:

আক্রান্ত হওয়ার পর পাল্টা অভিযানে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ডালাসে। ছবি: এপি।

প্রতিবাদ মিছিলের আড়াল নিয়ে পুলিশের উপর গুলি চলল। আমেরিকার ডালাসে বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ পুলিশ কর্মীর। আরও অন্তত ৬ জন জখম। পুলিশের গুলিতে পর পর দুই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু প্রতিবাদে মিছিল চলছিল। সেই সময়ই স্নাইপারদের বন্দুক থেকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের দিকে গুলি ছুটে যায়। এক সন্দেহভাজনকে পুলিশ ইতিমধ্যেই আটক করেছে।

Advertisement

ডালাসের পুলিশ প্রধান ডেভিড ও ব্রাউন নিজেই পাঁচ পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনের মৃ্ত্যু ঘটনাস্থলেই হয়। পরে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। যে ছয় পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে, তাঁদের অবস্থাও গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, অ্যামবুশ-এর ধাঁচে লুকিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কোনও উঁচু জায়গা থেকে বা কোনও উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলেও ব্রাউন জানিয়েছেন।

বুধবার মিনেসোটায় ফিলান্ডো ক্যাসটাইল নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে তাঁর গাড়ির মধ্যেই গুলি করে মেরেছিল পুলিশ। গাড়িতে ফিলান্ডোর স্ত্রী এবং মেয়েও ছিলেন। ফিলান্ডোর স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করেন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। মঙ্গলবারও আমেরিকার পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়েছিল। অ্যালটন স্টার্লিং নামে ওই যুবককে লুইজিয়িনায় গুলি করে পুলিশ।

Advertisement

পর পর দু’দিনে এই দুই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ গুলি করে মারায় টেক্সাস প্রদেশের ডালাস শহরে প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছিল। সিটি হল থেকে যখন সেই মিছিল ৮০০ মিটার দূরে, তখনই হঠাৎ পুলিশের উপর গুলি চালানো শুরু হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরাও এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান। ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করেন সকলেই।

দেখুন: এই ভাবে তছনছ একটা শহর! দেখলে শিউরে উঠতে হয়

পুলি‌শ এক সন্দেহভাজনের ছবি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে আবেদন জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তিকে দেখতে পেলেই পুলিশকে খবর দিতে। কিন্তু এই টুইটের কিছু ক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে। আরও এক জন স্নাইপার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশের দাবি। তার খোঁজে ডালাসের বিরাট এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মাথার উপর চক্কোর মারছে কপ্টার। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে অটোম্যাটিক রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। টেক্সাসের গভর্নর বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ডালাস শহরের যা যা সহায়তা প্রয়োজন, সব দেওয়া হবে।’’ তিনি এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এই রকম সময়ে আমাদের অবশ্যই আমেরিকান হিসেবে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement