দাউদ ইব্রাহিম। ফাইল চিত্র।
খুব চিন্তায় পড়েছেন ‘ডি কোম্পানি’র সম্রাট দাউদ ইব্রাহিম। না, এই চিন্তার কারণ পুলিশ বা ইন্টারপোল নয়! তবে?
সমস্যাটা তাঁর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মাঝে মধ্যেই খবর উঠে আসে, দাউদ নাকি বেশ অসুস্থ। তার সঙ্গে জুড়েছে অবসাদ। ধৃত দাউদের ভাই ইকবাল কাসকর তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ডনের পারিবারিক অন্য সমস্যা তো আছেই, তবে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর ছেলে মইন নওয়াজ ডি কাসকর। কেন?
আরও পড়ুন: মৌলবাদী আর পুলিশ সংঘর্ষে তপ্ত পাকিস্তান
ডনের এই বিশাল সাম্রাজ্যের ‘উত্তরাধিকারী’ নাকি ‘পারিবারিক ব্যবসা’য় নিজেকে জড়াতে চান না। তা হলে?
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে ঠাণের অ্যান্টি-এক্সটরসন সেলের প্রধান প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন, মইন এক জন মুসলিম ধর্মগুরু বা মৌলানা হতে চান। বাবার অপরাধ জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত! কেননা এই ‘ব্যবসা’র জন্য বিশ্বজুড়ে তাঁদের পরিবারের বদনাম রয়েছে। পরিবারের অনেকেই রয়েছেন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড-এর তালিকায়।
ইকবালকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দাউদের অন্য ভাই আনিস ইব্রাহিম কাসকরেরও বয়স হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থাও নাকি খুব একটা ভাল নয়। অন্য ভাইয়েরা মারা গিয়েছে। বিশ্বস্ত কোনও আত্মীয় নেই যে ডনের এই বিশাল সাম্রাজ্য সামলাবে। শেষ সম্বল ছিল তাঁর ছেলে মইন। কিন্তু তিনিও বেঁকে বসেছেন। শর্মা জানান, বেশ কয়েক বছর হল পরিবারের সঙ্গে এবং পারিবারিক ব্যবসা থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন মইন। তবে এটা স্পষ্ট নয়, বাবা-ছেলের মধ্যে এ বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন: হবু বৌমার উচ্চতা বেঁটে, শোকে আত্মঘাতী শাশুড়ি!
ইকবালের দাবি, মইন করাচির সাদ্দার এলাকার ক্লিফটনের বিশাল বড় বাংলো ছেড়ে, সমস্ত আতিশয্য ছেড়ে একটি মসজিদ সংলগ্ন বাড়িতে সাধারণ জীবনযাপন করছেন। মইনের স্ত্রী ও তিন সন্তানও তাঁর সঙ্গেই থাকেন।
বিজনেস ম্যানেজমেন্ট করে বাবার বেশ কিছু ব্যবসা দেখাশোনা করতেন মইন। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। সানিয়া শেখ নামে পাকিস্তানের এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করেন ২০১১-য়। শর্মা বলেন, “বাবার এত বড় সাম্রাজ্যের অধিকারী হওয়ার সুযোগ রয়েছে যার সামনে, সে কেন এ সব ছেড়ে ধর্মগুরুর পথ বেছে নিল, বিষয়টা খুব একটা স্পষ্ট নয়।”