গর্ভপাতে নিষেধাজ্ঞা উঠছে দক্ষিণ কোরিয়ায়

ধর্ষণের শিকার হলে, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়লে, মায়ের প্রাণের ঝুঁকি এবং মা- বাবার গুরুতর কোনও অসুখ থাকলে থাকলে ছাড় দেওয়া হয় সাজায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

সফল হল আন্দোলন। ষাট দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা গর্ভপাত-বিরোধী আইনকে অসাংবিধানিক বলে আজ রায় দিল দক্ষিণ কোরিয়ায় আদালত।

Advertisement

১৯৫৩ সালের এক আইনে গর্ভপাতকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে দেশটি। ১৯৭৩ সালে কিছুটা শিথিল হয়েছিল আইন। ধর্ষণের শিকার হলে, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়লে, মায়ের প্রাণের ঝুঁকি এবং মা- বাবার গুরুতর কোনও অসুখ থাকলে থাকলে ছাড় দেওয়া হয় সাজায়। আজ সাংবিধানিক আদালতের বেঞ্চের ন’জন বিচারপতির সাত জনই জানিয়েছেন, গর্ভপাতের ফলে শাস্তির নির্দেশ ‘অসাংবিধানিক’। পার্লামেন্টকে ১৯৫৩ সালের আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। যার ফলে ২০২০ সালের মধ্যে অপরাধের তকমা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে গর্ভপাত। রায়ে বলা হয়েছে, ‘‘যে আইন রয়েছে তা গর্ভবতী মহিলাদের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে।’’

২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গর্ভপাত-বিরোধী আইন খারিজে সায় দিয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ। এই আইন অবলুপ্তির দাবিতে সম্প্রতি কালো সার্জিকাল মাস্ক পরে সোলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তিন হাজার মহিলা। আজও সকাল থেকে আদালতের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় গর্ভপাতের ‘সাজা’ এক বছরের জেল ও জরিমানা। যে চিকিৎসকেরা গর্ভপাতে সাহায্য করবেন তাঁদের শাস্তি দু’বছর কারাদণ্ড। এই আইনকে হাতিয়ার করে গর্ভপাতের কথা প্রকাশ্যে আনার ভয় দেখিয়ে অনেক সময়েই স্বামী বা প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হন মহিলারা। জানাজানির ভয় থাকায় গর্ভপাত করতে অনেক বেশি টাকা দাবি করেন চিকিৎসকেরাও। ৭০টি গর্ভপাতে অভিযুক্ত এক চিকিৎসক ২০১৭ সালে এই আইন খারিজের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। আজ সেই মামলারই চূড়ান্ত রায় দেয় আদালত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন