মাইনের বদলে সেনাকে লুঠ আর ধর্ষণের অবাধ অধিকার দক্ষিণ সুদানে

সৈনিকদের বেতন দেয় না দক্ষিণ সুদান। বেতনের বদলে যে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে তাদের। দক্ষিণ সুদান সম্পর্কে এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৬ ১৫:১১
Share:

সৈনিকদের বেতন দেয় না দক্ষিণ সুদান। বেতনের বদলে যে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে তাদের। দক্ষিণ সুদান সম্পর্কে এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সরকারি প্রশ্রয়ে মহিলাদের উপর ভয়ঙ্কর নির্যাতনের জেরে দক্ষিণ সুদানে মানবাধিকারের পরিস্থিতি এখন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতর এই রিপোর্টই প্রকাশ করেছে। মহিলাদের উপর এমন অভাবনীয় অত্যাচার বন্ধ করার জন্য দক্ষিণ সুদানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২০১১ সালে অবিভক্ত সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হয় দক্ষিণ সুদান। দু’বছরের মধ্যেই ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় বিবদমান গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। সেনাবাহিনীর পক্ষে গৃহযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। তাই সরকারের পক্ষে থাকা গোষ্ঠীগুলি যে সব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিল, সেগুলিকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদের মোকাবিলা শুরু করেন দক্ষিণ সুদানের শাসকরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার অফিস রিপোর্টে জানিয়েছে, এই বেসরকারি বাহিনীকে বেতন দেয় না সে দেশের সরকার। বিদ্রোহীদের এলাকা দখল করার পর সেখানে লুঠপাট চালিয়ে যা খুশি নেওয়ার এবং যা খুশি করার অধিকার দেওয়া হয়েছে যোদ্ধাদের। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার অফিস ঠিক এই ভাষাতেই বর্ণনা করেছে দক্ষিণ সুদানের পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন:

Advertisement

বিদেশ থেকে চুরি গেল বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন ডলার

যা খুশি লুঠে নেওয়া এবং যা খুশি করার লালসায় বেকার যুবকদের মধ্যে যুদ্ধে যাওয়ার উৎসাহ বেড়েছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে হানা দিয়ে কোনও একটি নতুন এলাকা দখল করেই সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে ঢুকে এই যুবকরা যা খুশি লুঠ করে নিচ্ছে। বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ করছে অবাধে। কোনও মেয়েকে খুব পছন্দ হলে জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পুরুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকী শিশুদের কখনও পুড়িয়ে, কখনও বাক্সে বন্ধ করে, কখনও গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে, কখনও টুকরো টুকরো করে কেটে খুন করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন