মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পুরনো শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে নতুন সূচনার বিষয়টি ক্রমশ সামনে আসছে। সম্প্রতি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে চিন, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ। এখন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যাঁকে উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার কথা ভাবছে, সেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু তায়েব মুহম্মদ জাহিরুল আলম, আইএসআইয়ের (পাক গুপ্তচর সংস্থা) ঘনিষ্ঠ হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর ভারত-বিরোধী মনস্কতার কথাও অবিদিত নয় কূটনৈতিক বৃত্তে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সৈয়দ ইসকান্দারের সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন জাহিরুল। সূত্রের মতে, এঁদের প্রত্যেকেরই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বা ছিল। বিএনপি জমানায় (২০০১-০৬) জাহিরুল আলম ছিলেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান। ইসকান্দার ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য। ইসলামিক টেলিভিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এই ইসকান্দার ভারত-বিরোধী উগ্র ইসলামি শক্তিকে মদত দেওয়ার জন্য সুপরিচিত। মিজ়োরাম এবং অসমে ভারত-বিরোধী উগ্রপন্থীদের হাতে অস্ত্র পাঠানোর প্রশ্নে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর— এমনই অভিযোগ ছিল ভারতের।
জাহিরুল বাংলাদেশ ডিফেন্স কলেজে পাক সামরিক কর্তাদের আমন্ত্রণ জানানোর পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। ইউনূসের সঙ্গেও তাঁর সংযোগ রয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার জেলা চট্টগ্রাম থেকেই তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। এ হেন জাহিরুলের মতো ব্যক্তিকে উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করলে, ভারত-ঢাকা সম্পর্ক আরও ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পহেলগাম কাণ্ডের পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্রব রয়েছে, এমন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি বা সংগঠনকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে সাউথ ব্লক।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে