পাকিস্তানকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার, দাবি পাক স্টেট ব্যাঙ্কের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ) থেকে অতিরিক্ত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে গত সপ্তাহেই পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আট হাজার কোটি টাকা)-এর বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ। এরই মধ্যে পাক স্টেট ব্যাঙ্ক সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, তারা ওই ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছে।
তবে দ্বিতীয় কিস্তিতে কত টাকা তারা পেয়েছে, বিবৃতিতে তার উল্লেখ নেই। ওই অতিরিক্ত ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ তারা কবে পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ্যে আসেনি। পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আগামী ১৬ মে’র মধ্যে সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাভান্ডারে ওই অর্থ জমা হয়ে হবে। বস্তুত, গত ৯ মে পাকিস্তানকে ওই অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। পাকিস্তানকে ওই ঋণ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারে। তবে ওই ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ভারত।
আইএমএফে কোনও বিষয়ের উপর ভোটাভুটির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এই ভোটাভুটিতে বিরোধিতার কোনও সুযোগ নেই। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করলে হয় সমর্থন জানাতে হবে, অন্যথায় ভোটদানে বিরত থাকতে হবে। তাই ওই ভোটাভুটিতে বিরত থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ভারত। ইসলামাবাদকে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রসঙ্গে ভোটদানে বিরত থেকে নয়াদিল্লি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিল, এর আগে ঋণের টাকার সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘খারাপ ট্র্যাক রেকর্ড’ রয়েছে পাকিস্তানের।
গত ৯ মে ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেছিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড। ওই সময়ে ভারত জানিয়েছিল, আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারত বলেছিল, ‘‘আইএমএফের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করেছে তারা। আইএমএফ প্রকল্পের শর্তও মানেনি।’’ আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে পাওয়া ঋণের টাকা অনেক ক্ষেত্রে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছিল ভারত।