নেলসনের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া ছবি
চলছিল প্যানকেক খাওয়ার প্রতিযোগিতা। বাকি সকলের মতো মজা করতেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ২০ বছরের ছাত্রী কেটলিন নেলসন। তখনও জানতেন না এই মজাই ডেকে আনতে পারে মৃত্যু!
ফেয়ারফিল্ড পুলিশ লেফটেন্যান্ট রবার্ট কালামারাসের বক্তব্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রিক লাইফ ইভেন্টের প্যানকেক খাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কানেকটিকাটের সেক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটির ওই পড়ুয়া। পর পর কয়েকটি প্যানকেক খাওয়ার পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সিনিয়র এক পড়ুয়াই ফোন করেন ৯১১ নম্বরে। এক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ এসে হাসপাতালে ভর্তিও করেছিল নেলসনকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: এক রাতও আলাদা থাকেননি, ৭০ বছর পর মারাও গেলেন ৪ মিনিটের ব্যবধানে
তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর গোটা ক্যাম্পাস কমিউনিটি শোকস্তব্ধ হয়ে যায়। তাঁর মাস-এ মোমবাতি হাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার পড়ুয়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা ছিল চ্যাপেল। অবনমিত রাখা হয় স্কুলের ফ্ল্যাগ। তাঁর মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমবেদনা জানিয়েছেন বহু অপরিচিত মানুষ।
নেলসনের লিঙ্কডিন প্রোফাইল অনুযায়ী, সেক্রেড হার্টে সমাজসেবার ছাত্রী ছিলেন তিনি। কানেকটিকাটের নিউটাউনে রেজিলিয়েন্সি সেন্টারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও কাজ করতেন। এই অলাভজনক সংস্থার মাধ্যমে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে গণহত্যায় আক্রান্তদের সেবা করতে তিনি।
২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলায় আক্রান্তদের উদ্ধার করার সময় মারা যান কেটলিনের বাবা, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি পোর্ট অথরিটির পুলিশ অফিসার জেমস নেলসন।