পোলারিস শপিং সেন্টারের পার্কিং এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর দেহ। প্রতীকী ছবি।
বোনের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত ছিলেন বছর একুশের ইজ়রায়েলি পড়ুয়া আয়া মাসারউই। বোন হঠাৎ শুনতে পান দিদির আর্ত চিৎকার। ফোনটা পড়ে যাওয়ার শব্দও কানে আসে। সে মুহূর্তে আর দেখতে পাননি কিছু। কথা বলারও সুযোগ হয়নি। বরং অন্য কয়েক জনের গলা শুনতে পান বোন। তবে তারা কারা, বুঝতে পারেননি। মঙ্গলবার রাত এগারোটার ঘটনা। বুধবার সকালে পোলারিস শপিং সেন্টারের পার্কিং এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর দেহ। বৃহস্পতিবার শনাক্তকরণের পরে জানা যায়, আয়া মাসারউইয়েরই দেহ সেটি।
গত ছ’মাস ধরে মেলবোর্ন ছিল তাঁর ঠিকানা। অস্ট্রেলিয়ার লাট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়তে এসেছিলেন ইজ়রায়েল থেকে। মঙ্গলবার রাতে একটি অনুষ্ঠান দেখে ক্যাম্পাস থেকে আবাসনের দিকে ফিরছিলেন। ক্যাম্পাসটি ওই শপিং সেন্টারের কাছেই। পুলিশের ধারণা, সেই সময়ে আয়াকে অনুসরণ করছিল কেউ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীর খোঁজ চালানো হচ্ছে। সেই রাতে মাসারউইকে যাঁরা দেখেছিলেন, কথা বলা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গেও। তরুণীর দেহের একশো মিটারের মধ্যে একটি ধূসর রঙের টি শার্ট, কালো টুপি পড়েছিল। পুলিশের ধারণা, সেগুলি হামলাকারীর। সেগুলির ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। তবে ঠিক কী কারণে মাসারউইয়ের উপরে আক্রমণ হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তরুণীর পরিবার গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ।