শেষকৃত্য চলছিল এক অফিসারের। শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা জোরালো শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। মুহূর্তের মধ্যে দুঃখের আবহ বদলে গেল আতঙ্কে!
আজ আত্মঘাতী হামলায় পূর্ব আফগানিস্তানের জালালাবাদ এ ভাবেই রক্তাক্ত হল। ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। আহত অনেকে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। কারণ ওই এলাকায় তালিবান ও ইসলামিক স্টেট— এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীই সক্রিয়। আর হামেশাই এলাকার নিরাপত্তা রক্ষী এবং স্থানীয় অফিসারদের উপর হামলা চালায় ওই দুই জঙ্গি দল। ফলে সন্দেহের তির ওই দুই দলের উপর।
নানগরহর প্রদেশের গভর্নরের ডেপুটি মুখপাত্র নুর আহমদ হাবিবি জানিয়েছেন, প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদে এক প্রাক্তন জেলা প্রধানের শেষকৃত্য চলছিল। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। আচমকাই বিস্ফোরক ঠাসা পোশাক পরে সেখানে ঢুকে পড়ে এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ভিড়ের মধ্যেই সে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে অনেকের। শেষকৃত্যে ভিড়ের সুযোগ নিয়েই হামলা চালায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা, আরও তিন বছর জেল মোরসির
গভর্নরের দফতরের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল, ওই হামলার বলি হয়েছেন ৬ জন এবং আহত ১১ জন। কিন্তু পরে জানানো হয়, নিহতের সংখ্যা ১৮ এবং আহত প্রায় ১৪। আফগান সেনার দাবি, তালিবান এবং ইসলামিক স্টেট-সহ বেশ কিছু জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। আকাশপথে হামলায় সাহায্য করছে আমেরিকাও। এই যৌথ অভিযানে সাফল্যও আসছে বলে দাবি সেনার।
তবে তা সত্ত্বেও একের পর এক হামলা ঘটেই চলেছে আফগানিস্তানে। গত বৃহস্পতিবারই কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে এক সংস্কৃতি কেন্দ্রে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন ৪১ জন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস। কাবুলে ওই বড়সড় জঙ্গি হামলার পরে গত কাল গভীর রাতে মাজার-ই-শরিফে জমজমাট এলাকার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে আহত হন ১২ জন। তবে ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীই।