শিশুকে ফেরাক নরওয়ে: সুষমা

পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও মা বাবাকে ছাড়াই থাকতে হচ্ছে ছোট্ট আরিয়ানকে। গত বৃহস্পতিবার দেখভালের অভাবের অভিযোগে এক ভারতীয় দম্পতির পাঁচ বছরের ছেলেকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয় নরওয়ের শিশুকল্যাণ দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও মা বাবাকে ছাড়াই থাকতে হচ্ছে ছোট্ট আরিয়ানকে। গত বৃহস্পতিবার দেখভালের অভাবের অভিযোগে এক ভারতীয় দম্পতির পাঁচ বছরের ছেলেকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয় নরওয়ের শিশুকল্যাণ দফতর। বিষয়টি জানার পরেই সক্রিয় হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। নরওয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে রিপোর্ট চান।

Advertisement

মঙ্গলবার সুষমা বলেন, ভারত চায় যত দ্রুত সম্ভব নিজের বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসুক শিশুটি। তাঁর মতে, নিজের বাবা-মায়ের তুলনায় পালক বাবা-মা বাচ্চার বেশি যত্ন করতে পারবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। টুইটারে বিদেশমন্ত্রী লেখেন, ‘‘পালক বাবা-মা ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। আমাদের খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসও তাঁদের জানার কথা নয়। আমরা চাই, আরিয়ান তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসুক।’’

এই বক্তব্য প্রকাশের কিছু ক্ষণ পরেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অসলোয় বৈঠক করেন সে দেশের অফিসাররা। দূতকে জানানো হয়, আরিয়ানের বিষয়টি নরওয়ের শিশুকল্যাণ আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। নরওয়েতে বসবাসকারী সব শিশুর (তা সে যেখানকার নাগরিক হোক), উপরে এই আইন প্রযোজ্য। তাঁরা জানান, নরওয়ের এই আইন রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু অধিকার নীতি মেনে চলে। তা ছাড়া, শিশুকল্যাণের বিষয়টি যে হেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তা নিয়ে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়।

Advertisement

২৬ বছর আগে পঞ্জাব থেকে নরওয়ে আসেন আরিয়ানের বাবা অনিল কুমার। অনিল ও তাঁর স্ত্রী গুরবীন্দ্রজিতের অভিযোগ, ছেলের দেখভাল ঠিকমতো হচ্ছে না, এমন প্রমাণ নরওয়ের শিশুকল্যাণ প্রতিনিধিদের কাছে ছিল না। এখন অসলো থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে একটি হোমে রয়েছে অনিল-গুরবীন্দ্রজিতের ছেলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement