ফের মিলল গণকবর। তাইল্যান্ডের পর এ বার মালয়েশিয়াতেও।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে এমনিতেই প্রবল চাপে মালয়েশিয়া আর তাইল্যান্ড সরকার। এর মধ্যেই আজ তাইল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া মালয়েশিয়ার পাডাঙ্গ বেসার এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় তিরিশটি গণকবর। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ হামিদি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মোট ১৭টি খালি শিবির মিলেছে ওই কবরগুলির আশপাশে। মনে করা হচ্ছে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের মৃতদেহই রয়েছে ওই গণকবরে। সেখানে অন্তত শ’খানেক মৃতদেহ থাকতে পারে বলে অনুমান।
দিন কয়েক আগেই একই রকম পরিত্যক্ত শিবির এবং গণকবরের সন্ধান মিলেছিল তাইল্যান্ড ভূখণ্ডে। তবে মালয়েশিয়ার মধ্যে গণকবর আবিষ্কার এ বারই প্রথম।
গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু দিন ধরেই তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে কয়েক হাজার অভিবাসীকে নৌকায় ভাসতে দেখা গিয়েছে। এদের বেশির ভাগই মায়ানমার থেকে পালানো রোহিঙ্গা শরণার্থী। অভিযোগ, দেশে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের নির্যাতন ও সরকারি অব়জ্ঞা থেকে বাঁচতেই দেশছাড়া রোহিঙ্গারা। দেশ মায়নমারে বসবাসকারী বেশ কিছু বাংলাদেশিও এঁদের সঙ্গে দেশ ছাড়েন। প্রথমে এই হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করলেও পরে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেয় মালয়েশিয়া ও তাইল্যান্ড। কিন্তু একটা সময় পরে হাত তুলে নেয় দুই দেশই। অভিবাসী সঙ্কট বাড়তে থাকে ঠিক এর পরেই। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সমস্যার সমাধানসূত্র যে তাতেও মেলেনি, আজকের গণকবর আবিষ্কার যেন তারই সাক্ষী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ জানান, পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্স এই গণকবরগুলির সন্ধান পেয়েছে।