বানচাল যুদ্ধবিরতি, ত্রাণ আটকে সিরিয়া সীমান্তে

ভেস্তে গেল সিরিয়ার নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি। চুক্তি সইয়ের ঠিক সাত দিনের মাথায়। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্তই ছিল, বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীকে কোনও ভাবেই ঘাঁটানো যাবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দামাস্কাস শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪১
Share:

বিধ্বস্ত সিরিয়া। ছবি এএফপি।

ভেস্তে গেল সিরিয়ার নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি। চুক্তি সইয়ের ঠিক সাত দিনের মাথায়। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্তই ছিল, বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীকে কোনও ভাবেই ঘাঁটানো যাবে না। কিন্তু গত কাল সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে অন্তত চারটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। প্রায় একই সময়ে হামলা চলেছে বিরোধীদের দখলে থাকা সিরিয়ার ডায়েল গ্রামেও। সব মিলিয়ে নিহত অন্তত ১০।

Advertisement

হামলার নেপথ্যে কারা? আজ সকাল পর্যন্ত তা স্পষ্ট না হলেও, সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি ফুরিয়েছে রবিবার মাঝরাতেই। সিরীয় সেনা অবশ্য চুক্তির শুরুতেই জানিয়েছিল, এর মেয়াদ সাত দিনের বেশি নয়। আজ দিনের শুরুতে যেন তাতেই সুর মেলাল বিরোধীরা। চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ওয়াশিংটন-মস্কো। বিশেষ সাড় নেই দামাস্কাসেরও। যার অর্থ একটাই, সিরিয়ার ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকমহল। গত পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধের জেরে যে দেশে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩ লক্ষের।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও মার্কিন বিমান হামলার কারণে সিরিয়ার শান্তিচুক্তি যে প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে, গত কালই তা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া। রবিবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। যার দায় অবশ্য শুধু আমেরিকার উপরই বর্তায় না। যুদ্ধবিরতির সপ্তাহেই সিরীয় সেনা ২৫৪টি হামলা চালিয়েছে বলে আজ অভিযোগ জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। পাল্টা তোপ দেগেছে দামাস্কাসও। শুধু রবিবারই বিদ্রোহীরা অন্তত ৩২টি হামলা চালিয়েছে বলে দাবি সেনার। সরকারি তরফে সংশ্লিষ্ট রফা কমিটির হয়ে জর্জ সাবরা জানান, চুক্তি ভেঙেছে সব পক্ষই। তাঁর কথায়, ‘‘শান্তিচুক্তি সই করার সময় ভাবা হয়েছিল, এ বার হয়তো দেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অংশে ত্রাণ গিয়ে পৌঁছবে। সেটাও হলো না।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, চুক্তি সইয়ের পরেই পূর্ব আলেপ্পোর ১ লক্ষ ৮৫ হাজার নাগরিকের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে রওনা দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০টি করে ট্রাকের জোড়া কনভয়। দু’টিই এখনও আটকে রয়েছে সিরিয়া-তুরস্কের সীমান্তে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরনোয় তাই বিপাকে রাষ্ট্রপুঞ্জও। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ত্রাণ কেন পৌঁছে দেওয়া গেল না, প্রশ্ন উঠছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের অভিযোগ, কোনও ভাবেই তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়নি সিরীয় সরকার। মেলেনি মাঠে নেমে কাজ করার সম্মতিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন