সিরীয় শরণার্থীর চাপ বাড়ছে ইরাকে 

এখনও পর্যন্ত ইরাকের দুহক প্রদেশের বারদারাস শিবিরে কমপক্ষে ৮,৮৫০ জন নতুন শরণার্থী এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের খাবার জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বাগদাদ শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

ইরাকে সিরিয়া শরণার্থী অনুপ্রবেশের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক অভিযানের পর থেকে ইরাকে সিরিয়া শরণার্থী অনুপ্রবেশের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে বলে জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত ইরাকের দুহক প্রদেশের বারদারাস শিবিরে কমপক্ষে ৮,৮৫০ জন নতুন শরণার্থী এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের খাবার জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক জানান, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে এখনও পর্যন্ত মোট ১,৭৬,০০০ জন ছিন্নমূল হয়ে পড়েছেন। আশ্রয় এবং খাবারের বন্দোবস্ত করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

ইরাকে ঢুকে আসা শরণার্থীদের জন্য অনেকগুলি আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বারদারাসের শিবিরটি ফের খোলা হয়। এখানে প্রায় প্রতিদিনই শরণার্থীদের চাপ বাড়ছে বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকেরা। তবে ১১ হাজারের বেশি মানুষকে সেখানে ঠাঁই দেওয়া সম্ভব নয়। যে হারে প্রত্যেক দিন শরণার্থীদের ভিড় বাড়ছে, তাতে খুব দ্রুত সেই সংখ্যা অতিক্রান্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অবস্থা সামাল দিতে অন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিকেও সাহায্য করতে আর্জি জানিয়েছি।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস আজই বিশ্বের সব দেশকে গাঁধী ও মার্টিন লুথার কিংয়ের কথা স্মরণ করিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হানাহানি বন্ধ করে সকলে শান্তির পথে হাঁটুন।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন