মোল্লা আখতার মনসুর।
পাকিস্তানে ঢুকে তালিবান ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালাল আমেরিকা। খতম তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই এ কথা ঘোষণা করে বলেছেন, মনসুরের মৃত্যু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে খুব গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়েই যে তালিবানরা আফগানিস্তানে সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে, সে অভিযোগ কাবুল বহু দিন ধরেই করছে। আমেরিকাও বার বার পাকিস্তানকে তালিবানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কিন্তু ইসলামাবাদের তেমন হেলদোল দেখা যায়নি। এ বার আর পাকিস্তানের তোয়াক্কা না করে তালিবান ঘাঁটিতে আমেরিকা নিজেই হামলা চালাল। পাকিস্তানের পশ্চিমপ্রান্তের আফগান ঘেঁষা রাজ্য বালুচিস্তানেই যে তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর লুকিয়ে রয়েছেন, সে খবর আগেই পেয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। মনসুরের আস্তানা চিহ্নিত করে আচমকা বালুচিস্তানের আকাশ থেকে আগুন ঝরাতে শুরু করল মার্কিন ড্রোন। বিধ্বংসী হামলায় ঝলসে গিয়েছে তালিবান প্রধানের ঘাঁটি। মৃত্যু হয়েছে মোল্লা আখতার মনসুরের।
প্রেসিডেন্ট ওবামা এখন ভিয়েতনাম সফরে। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করেছেন তালিবানের প্রধান কম্যান্ডারকে খতম করার খবর। ওবামা বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য মার্কিন বাহিনী এবং মিত্র দেশগুলির সেনার উপর যারা হামলা চালাচ্ছিল, সেই তালিবানদের প্রধানকে আমরা শেষ করে দিয়েছি।’’ ওবামা জানান, মোল্লা আখতার মনসুরকে দীর্ঘ দিন ধরেই শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হচ্ছিল। কিন্তু শান্তি আলোচনায় তিনি কোনও আগ্রহ দেখাননি। বরং আরও তীব্র করছিলেন সন্ত্রাস। শনিবারের ড্রোন আক্রমণে মনসুরের মৃত্যুকে মার্কিন বাহিনীর বিরাট সাফল্য বলে উল্লেখ করেন ওবামা। এর ফলে তালিবানরা খুব জোর ধাক্কা খেল বলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মত। তালিবানদের অন্য কম্যান্ডাররা এ বার অস্ত্র নামিয়ে যাতে শান্তি আলোচনায় আসেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা সে আহ্বানও রেখেছেন।
আরও পড়ুন:
এমনই দাপট ভারতের বিশাল ট্যাঙ্ক বাহিনীর!
পাকিস্তান কিন্তু এই মার্কিন হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছে। আমেরিকা পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে হামলা চালানোর জন্য ইসলামাবাদের অনুমতির পরোয়া করেনি। পাকিস্তানের তরফে এর কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। বালুচিস্তানে এই হামলা চালিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
আমেরিকার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তালিবানের বিরুদ্ধে হামলা চলবে।