Taliban regime

তালিবানের হাতে নিহত কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের মূলচক্রী, দাবি হোয়াইট হাউসের

২০২১-এর ২৬ অগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটে বিস্ফোরণ হয়। তাতে ১৭০ জন সাধারণ আফগানেরও মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে ১৩ জন আমেরিকার সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। সেই হামলার মূলচক্রী নিহত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৭
Share:

কাবুল বিমানবন্দরের গেটে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আমেরিকার সেনাকর্মী-সহ বহু সাধারণ মানুষের। — ফাইল ছবি।

আমেরিকার আফগানিস্তান ত্যাগের সময় ২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’কে খুন করেছে তালিবান। এমনই দাবি আমেরিকার আধিকারিকদের। ২০২১-এর ২৬ অগস্ট ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন আমেরিকার সেনাকর্মী এবং বহু সাধারণ আফগানিস্তানবাসীর প্রাণ গিয়েছিল।

Advertisement

২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আমেরিকা আফগানিস্তান ছাড়ার সময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী ছিল গোটা বিশ্ব। আমেরিকা তাঁদের নাগরিক এবং সাধারণ আফগানদের মধ্যে কয়েক জনকে নিজেদের সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে নিয়ে যাচ্ছিল। ২৬ অগস্ট তেমনই চলছিল। সেই সময় কাবুল বিমানবন্দরের মূল ফটকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে ১৩ জন আমেরিকার সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে ১৭০ জন সাধারণ আফগানেরও মৃত্যু হয়। আমেরিকার দাবি, সেই বিস্ফোরণের মূলচক্রীকেই খতম করেছে তালিবান।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘নিহত এক জন আইসিস-কে সদস্য এবং অ্যাবে গেটের মতো একাধিক ঘটনার মূলচক্রীদের অন্যতম। কিন্তু আর নতুন কোনও ছক কষা তার পক্ষে সম্ভব হবে না।’’ তবে কী ভাবে তাকে হত্যা করা হল তা এখনও খোলসা করেনি আমেরিকা। জানা যায়নি মৃতের নামও।

Advertisement

২০২১-এর ১৫ অগস্ট তালিবান আনুষ্ঠানিক ভাবে কাবুল পুনর্দখল করে। আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বার তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই সে দেশে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করে আমেরিকা। সর্বশেষ বিমানটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছাড়ে ২০২১-এর অগস্টের শেষ পর্বে। সেই সময়ই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরণের ঘটনা।

ঘটনাচক্রে, তালিবান আফগানিস্তান পুনর্দখল করলেও বহুধা বিভক্ত আফগানভূমে আইসিস-কে (এলাকার পুরনো নাম খোরাসান থেকে) বরাবরই তালিবান বিরোধী। কাবুলের তখ্‌ত দখল করলেও তাই আইসিস-কে-এর বিরুদ্ধে তালিবানের লড়াই জারি ছিলই। এ বার তালিবানের নিশানায় চলে এলেন কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের মূলচক্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন