প্রতীকী ছবি।
বিপদের বন্ধু বড় বন্ধু, আবারও প্রমাণ করল চিন!
জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করানোর জন্য যখন ইসলামাবাদের ওপর উত্তরোত্তর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা, ঠিক তখনই বুক চিতিয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ল চিন।
শনিবার বেজিংয়ের তরফে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে বলা হয়েছে, জঙ্গি দমনে পাকিস্তান ‘যে সব সক্রিয় ভূমিকা’ নিয়েছে আমেরিকা বরং তার ‘পূর্ণ স্বীকৃতি’ দিক। জঙ্গি দমনে পাক প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা পাক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
কূটনীতিকরা বলছেন, এই ভাবে ইসলামাবাদের পাশে বেজিংয়ের দাঁড়িয়ে পড়ার অর্থ, যা পাকিস্তান বললে বিশ্বের কাছে তেমন গ্রহণযোগ্য মনে হত না, সেই কথাটাই পাকিস্তান চিনকে দিয়ে বলিয়ে নিল। বা, ইসলামাবাদকে তার সব সময়ের বন্ধু বোঝাতে চিন যেচেই কথাটা বলে দিল।
আরও পড়ুন- কড়া বার্তা দিতে টিলারসনদের পাকিস্তানে পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন- আগেই দিওয়ালি এনে দিলাম, জিএসটি হ্রাস নিয়ে বলছেন মোদী
দরকার ছিল। কারণ, এই সে দিন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেছিলেন, ‘‘জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই। ইসলামাবাদের এই আচরণ বদলানো উচিত।’’
তারই জবাবে শনিবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের লড়াইয়ে পাকিস্তান রয়েছে বিশ্বে একেবারে সামনের সারিতে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গি জমনের জোর লড়াইটা লড়ে চলেছে পাকিস্তান। আর তার জন্য তাকে বিপুল ভাবে আত্মত্যাগও করতে হয়েছে। তাই আমরা মনে করি, জঙ্গি দমনে পাকিস্তান গত কয়েক বছর ধরে যে ভূমিকা নিয়ে চলেছে, এ বার তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।’’