আল নুসরা

জবরদখল হাসপাতালে, আটক ১৫০ সেনা

জঙ্গি কবলে এ বার হাসপাতালও। সিরিয়া সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের একটা চাপা লড়াই চলছিল মাস খানেক ধরেই। উত্তরপশ্চিম সিরিয়ায় জিসর আল সুঘুর হাসপাতালে পণবন্দিই হয়েছিলেন প্রায় ১৫০ সেনা ও বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক। এ বার তা পুরোপুরি চলে গেল আল নুসরা জঙ্গি গোষ্ঠীর কবলে। আজ এমনটাই জানিয়েছে দেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেইরুট শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০২:৩৬
Share:

জঙ্গি কবলে এ বার হাসপাতালও। সিরিয়া সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের একটা চাপা লড়াই চলছিল মাস খানেক ধরেই। উত্তরপশ্চিম সিরিয়ায় জিসর আল সুঘুর হাসপাতালে পণবন্দিই হয়েছিলেন প্রায় ১৫০ সেনা ও বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক। এ বার তা পুরোপুরি চলে গেল আল নুসরা জঙ্গি গোষ্ঠীর কবলে। আজ এমনটাই জানিয়েছে দেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন। সেনা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং উল্টো দাবিই করছে সিরিয়া প্রশাসনের একাংশ।

Advertisement

সংগঠনের তরফে রামি আবদেল রহমান জানান, ‘‘জঙ্গি কবল থেকে বাঁচতে বেশ কিছু রোগী আগেই পালিয়েছে হাসপাতাল থেকে। যারা পারেনি, এখন তাদের ঘিরেই আশঙ্কা।’’ অভিযোগ, জঙ্গিরা রেয়াত করছে না মরণাপন্ন রোগীদেরও। তবে আহতের সংখ্যাটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

চলতি সপ্তাহেই সিরিয়ার প্রাচীন সৌধশহর পালমাইরার দখল নিয়েছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। এ বার বাড়বাড়ন্ত আল কায়দা-সমর্থিত আল নুসরা-র। ইডলিব প্রদেশের এই হাসপাতালটিকে জঙ্গি কবলমুক্ত করতে এ মাসের শুরুতেই ময়দানে নামেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ। আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পণবন্দিদের মুক্ত করতে শীঘ্রই আমরা সেনা পাঠাচ্ছি হাসপাতালে।’’ অথচ মানবাধিকার সংগঠনটির দাবি, লড়াই শুরুর আগেই পিছু হটেছে প্রশাসন। আস্তে আস্তে পুরো হাসপাতালটাই এখন জঙ্গিদের হাতে।

Advertisement

সেনা যে হার মেনেছে, তা প্রমাণ করতে মরিয়া আল নুসরাও। হাসপাতাল চত্বরেই সার দিয়ে সিরিয়া সেনার একাংশ। টুইটারে সম্প্রতি এমন একাধিক ছবি পোস্ট করেছে জঙ্গিরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২৫ এপ্রিল হাসপাতালে ঢোকে জঙ্গিরা। তখন থেকেই পণবন্দি হাসপাতালের রোগী থেকে শুরু করে কর্মী-চিকিৎসক এমনকী সরকারি কিছু আমলাও। মানবাধিকার সংগঠনটির দাবি, আল নুসরা কয়েক মাস ধরেই পুরো ইডলিব প্রদেশের দখল নিতে চাইছে। ২৮ মার্চ তারা দখল করে ইডলিবের রাজধানী। দিন চারেক আগে হানা দেয় দেশের সব চেয়ে বড় সেনাঘাঁটিতে। এ বার কব্জায় হাসপাতাল। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছে স্থানীয়রাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন