ব্রিটিশ পরিবারকে মারধরে অভিযুক্ত হুয়া হিনের তাই যুবক তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইল। গত কালই পুলিশ তাকে আটক করেছিল। ১৩ এপ্রিল হুয়া হিনের রাস্তায় এক ব্রিটিশ পরিবারের তিন জনকে বেধড়ক মারার ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনা ওঠে গোটা বিশ্বে।
গত কালের আটক যুবকের নাম চাইয়া জাইবুন। বয়স কুড়ি। আজ তাকে জেরা করতে তাই শীর্ষ পুলিশ অফিসাররা গিয়েছিলেন হুয়া হিনে। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে যে সে ও তার বন্ধুরা সেই রাতে মদ্যপ ছিল। তার মনে হয়েছিল ওই পর্যটকদেরই কেউ এক জন তার এক বন্ধুর গায়ে হাত তুলেছিল। তবে সে দিনের আচরণের জন্য বার বার ক্ষমা চেয়েছে জাইবুন— হুয়া হিন ও তাইল্যান্ডের মানুষের কাছে। ওই ব্রিটিশ পরিবারের কাছেও। দু’হাত জড়ো করে তাইয়ের সাবেকি ‘ওয়াই’ ভঙ্গিতে সেই ক্ষমা চাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। ঘটনার দু’দিন পরেই গ্রেফতার হয়েছিল অভিযুক্ত আরও তিন তাই যুবক। তারাও জাইবুনের মতোই মদের নেশাকেই দায়ী করেছিল সে দিনের ঘটনার জন্য।
তাই পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক আজ জানান, মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, হুয়া হিনের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আরও বেশি পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবও দিয়েছেন ওই আধিকারিক।
ওই ব্রিটিশ দম্পতির ৩ মে তাইল্যান্ড থেকে ফেরার কথা। হুয়া হিন পুলিশ এখনও নিয়ম করে হোটেলে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন। তবে সে রাতের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও ভুলতে পারছেন না ছেলে জন আওয়েন। এক সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, ‘‘তাইল্যান্ড আর কখনো আসছি না। আমার মা-বাবাও না। কোনও দিনও না।’’