Plane Crash

পাকিস্তানি বিমানের ধ্বংসস্তূপে দেহ মিলল ৯৭ জনের

লাহৌর থেকে উড়ে করাচিতে নামার মিনিটখানেক আগে গত কাল ভেঙে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-এর এয়ারবাসটি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি

আশঙ্কাই সত্যি হল। পাকিস্তানের করাচিতে গত কালের বিমান দুর্ঘটনায় দুই যাত্রী বেঁচে গিয়েছেন বলে খবর এসেছিল রাতে। আজ জানা গেল, ধ্বংসস্তূপ থেকে ৯৭টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯টি দেহ। যাত্রী ও বিমানকর্মী মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ৯৯ জন। সুতরাং ধরে নেওয়া হচ্ছে, বাকিরা কেউই আর বেঁচে নেই।

Advertisement

লাহৌর থেকে উড়ে করাচিতে নামার মিনিটখানেক আগে গত কাল ভেঙে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-এর এয়ারবাসটি। বিমানবন্দরের অদূরে জনবহুল জিন্না গার্ডেন এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছিল প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত খবর, স্থানীয় কেউ মারা যাননি।

বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর এক জন পাকিস্তানের ব্যাঙ্ক অব পঞ্জাবের সিইও জ়াফর মাসুদ। অন্য জন ২৪ বছরের মহম্মদ জ়ুবের। হাসপাতালে জ়ুবের বলেছেন, ‘‘প্রচণ্ড ধাক্কাটার পরেই যেন জ্ঞান ফিরে এল আমার। দেখলাম, চারদিকে আগুন, আর্তনাদ। সবাই তো বাঁচতে চাইছিল। সিটবেল্ট খুলে এগোতে এগোতে একটা আলো দেখলাম। লাফ দিলাম বাইরে।’’

Advertisement

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, দু’বারের চেষ্টাতেও বিমানটি নামাতে পারেননি পাইলট। বিমানের চাকা খোলেনি। উল্টে রানওয়েতে ঘষা লেগে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তৃতীয় চেষ্টার আগেই বিমান ভেঙে পড়ে। পিআইএ জানিয়েছে, পরশুই বিমানটি মাসকট থেকে লাহৌরে ফিরেছিল। তার ইঞ্জিন, চাকা বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতিতে ত্রুটি ছিল না। শেষ বার বিমানটিকে পরীক্ষা করা হয়েছিল ২১ মার্চ। আপাতত সেটির ওড়ার শংসাপত্র ছিল ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সরকার জানিয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি যথাসম্ভব দ্রুত রিপোর্ট দেবে। উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাক বক্স।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন