বোমা ‘মেরে’ স্বস্তি জার্মানিতে

বোমাটা অবশ্য ৭০ বছরেরও বেশি পুরনো। অনুমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এটি ফেলে গিয়েছিল মার্কিন বোমারু বিমান। কোনও কারণে তা ফাটেনি। এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল। সম্প্রতি শহরের জনবহুল এক এলাকায় নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়েই খোঁজ মেলে গাছের গুঁড়ির মতো দেখতে ওই ঢাউস বোমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ফ্রাঙ্কফুর্ট শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা। নিষ্ক্রিয় করার পরে। রবিবার। ছবি: টুইটার।

ফাটেনি। কিন্তু ফাটলে কী হত? নিরাপদে বাড়ি ফেরার ২৪ ঘণ্টা পরেও প্রশ্নটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে জার্মানির লুডউইগশাফেন শহরের বাসিন্দাদের।

Advertisement

আর হবে না-ই বা কেন। দিন কয়েক আগে ৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই বোমার ভয়েই যে জনপদটির প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন! কাল স্থানীয় সময় দুপুর দু’টো নাগাদ বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে জার্মান পুলিশের বম্ব স্কোয়াড।

বোমাটা অবশ্য ৭০ বছরেরও বেশি পুরনো। অনুমান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এটি ফেলে গিয়েছিল মার্কিন বোমারু বিমান। কোনও কারণে তা ফাটেনি। এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল। সম্প্রতি শহরের জনবহুল এক এলাকায় নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়েই খোঁজ মেলে গাছের গুঁড়ির মতো দেখতে ওই ঢাউস বোমার। কোদাল চালাতে গিয়ে শ্রমিকেরা বুঝতে পারেন, মাটির নীচে ধাতব কিছু একটা রয়েছে। আরও একটু খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে ব্যারেল আকৃতির ওই বোমা। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর যায় বম্ব স্কোয়াডের কাছে। তারাই বলে, বোমা নিষ্ক্রিয় করার আগে ওই কেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকায় যত মানুষ এবং প্রাণী আছে, সব সরাতে হবে। তড়িঘড়ি মাঠে নামে প্রশাসন। আট থেকে আশি— এমনকি হুইলচেয়ারে করেও রাতারাতি চলতে থাকে শহর খালি করার প্রক্রিয়া। তার পরে কাল এলাকা ঘিরে ফেলে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই বোমাটিকে নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ। আজ তারাই টুইট করেছে সেই ছবি।

Advertisement

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমলের এমন বোমা উদ্ধার, বিশেষত জার্মানিতে নতুন কিছু নয়। তবে গত বছর ফ্রাঙ্কফুর্টে পাওয়া ১৬০০ কেজি ওজনের বোমাটিই সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হয়। ব্রিটিশ সেনার ফেলা সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করার আগে এলাকার প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরানো হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে বার্লিন সেন্ট্রাল স্টেশনের কাছেও একটি বিশ্বযুদ্ধকালীন বোমা উদ্ধার এবং নিষ্ক্রিয় করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন