ফাইল চিত্র।
প্রথমে বলেছিলেন, ‘‘ভালই হয়েছে। এ বার সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ কিন্তু তারপরেই সুর পাল্টে অভিযোগ করলেন, ‘‘ডাইনি-খোঁজ চলছে। আমার মতো হেনস্থা কোনও নেতাকে করা হয়নি।’’
অভিযোগের সুরটা পরিচিত। মসনদে আসার পরে ১২০ দিন কাটতে চলল। কিন্তু বিস্ফোরক মন্তব্য করার চেনা ছক থেকে কিছুতেই বার হতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রথমে সন্তোষ জানালেও কয়েক ঘণ্টা পরেই ট্রাম্প বলে ফেলেন, ‘‘এ সবই ষড়যন্ত্র!’’ সেই জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট, যার দায়িত্বে ট্রাম্পের প্রিয় কূটনীতিক, অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস!
কেন এত খেপলেন ট্রাম্প? ২০১৬-র নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন এফবিআই কর্তা রবার্ট ম্যুলারকে। গতকাল রাতেই এই ঘোষণা করা হয়। তখন ৫৭ শব্দের এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘আমার প্রচারের সঙ্গে কোনও বিদেশি শক্তি হাত মেলায়নি। তদন্তের পর এ কথা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ প্রেসিডেন্টের এই ‘সংযত’ প্রতিক্রিয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে হোয়াইট হাউস-ও।
কিন্তু সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালেই ট্রাম্প তোপ দাগার জন্য বেছে নেন তাঁর সব থেকে প্রিয় মাধ্যম— টুইটার। সাতসকালেই পরপর দু’টি টুইট। প্রথমে বলেন, ‘‘ক্লিন্টনের প্রচার ও ওবামা জমানায় তো অসংখ্য দুর্নীতি হয়েছে। কই, তখন তো কোনও বিশেষ তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হয়নি!’’ এখানেই থামেননি প্রেসি়ডেন্ট। ১৩ মিনিট পরেই দ্বিতীয় টুইটে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য— ‘‘আমেরিকার ইতিহাসে এ ভাবে কখনও ডাইনি-খোঁজ চলেনি।’’ ম্যুলার বা রুশ হস্তক্ষেপের কথা না বললেও সেই প্রসঙ্গেই যে ট্রাম্পের এই উক্তি, তা বুঝতে কারওরই অসুবিধে হচ্ছে না।
নির্বাচনের পর থেকেই রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিদ্ধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত সপ্তাহে এফবিআই কর্তা জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পরে সেই অভিযোগের পারদ আরও চড়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, ‘‘ইতিহাসে আর কোনও রাজনীতিবিদকে এতটা অন্যায্য ভাবে দেখা হয়নি।’’