দ্য ল্যুভ্র আবু ধাবি। ফাইল চিত্র।
পথ চলা শুরু হওয়ার কথা ২০১২ সালেই শুরু হবে। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা একের পর এক উল্টে গেলেও আটকে গিয়েছে শুভারম্ভ। এ ভাবে টানা পাঁচ বছর চলার পরে অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।
আগামী ১১ নভেম্বরে খুলছে ‘দ্য ল্যুভ্র আবু ধাবি’! প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভ্র মিউজিয়ামেরই শাখা এটি। এই প্রথম বার বিদেশের মাটিতে কোনও শাখা খুলতে চলেছেন ল্যুভ্র কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আবু ধাবিতে সাংবাদিক বৈঠক করে উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংস্কৃতি ও জ্ঞান উন্নয়ন মন্ত্রী মুবারক আল নাহয়ান।
২০০৭ সালে প্যারিসের ল্যুভ্র কর্তৃপক্ষ আবু ধাবির সঙ্গে নিজেদের নাম জুড়তে সম্মত হয়েছিলেন। অনেক কথাবার্তার পরে ২০১২ সালে ‘ল্যুভ্র আবু ধাবি’ খোলার কথা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি। বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং তেলের দাম ওঠা-নামার কারণে ক্রমশই পিছোতে থাকে উদ্বোধনের দিনক্ষণ। শেষে তা ২০১৬-য় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত বছরেও খোলা যায়নি ওই মিউজিয়াম। অবশেষে এই নভেম্বরে আবু ধাবির ল্যুভ্র মিউজিয়াম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্যারিসের ল্যুভ্র মিউজিয়ামের ডিরেক্টর জঁ লুক মার্তিনেজের কথায়, ‘‘ল্যুভ্রের ল্যুভ্র হয়ে উঠতে সময় লেগেছিল অন্তত ৮০০ বছর। আর আবু ধাবিতে আর একটা ল্যুভ্র তৈরি হতে সময় লাগল ১০ বছর।’’
কিন্তু কেমন হবে এই সংগ্রহশালা?
আবি ধাবির উপকূলে তৈরি হয়েছে এই ‘ল্যুভ্র’। যার চারপাশে শুধু জল আর জল। ওই সংগ্রহশালার রুপোলি গম্বুজাকৃতি ভাসমান ভবনটির নকশা বানিয়েছেন জঁ ন্যুভেল। মিউজিয়ামের গম্বুজাকৃতি ছাদটির নকশা বানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ছিদ্র। এর ফলে সূর্যের নরম আলো সরাসরি সংগ্রহশালার ভিতরে ছড়িয়ে পড়তে পারবে।
মিউজিয়ামে থাকবে ২৩টি স্থায়ী গ্যালারি ও ৬০০টি প্রদর্শিত শিল্পকর্ম। উদ্বোধনের পরে প্রথম বছরে প্রদর্শিত হবে ৩০০টি শিল্পকর্ম। এই শিল্পকর্মগুলো ল্যুভ্র, মুসে দো’রসে ও সঁত্র পোম্পিদ্যু-সহ মোট ১৩টি বিখ্যাত ফরাসি সংগ্রহশালা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকবে লিওনার্দো দ ভিঞ্চির ‘লা বেল ফেরোনিয়ের’, ক্লোদ মোনে-র ‘স্যাঁ ল্যাজার’ এবং অঁরি মাতিসের ‘স্টিল লাইফ উইথ ম্যাগনোলিয়া’র মতো অসামান্য সব শিল্পকর্মও।