EU-China

ইইউ-চিন সমঝোতা বাড়ছে,সতর্ক দিল্লি

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পাবলো সানচেজ় এই সপ্তাহে চিন সফর করছেন। আগামী সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন যাবেন বেজিং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

শি জিনপিং। ফাইল ছবি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাণিজ্যক্ষেত্রে ক্রমশ সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে চিনের সঙ্গে। সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে নয়াদিল্লি। চিনের সঙ্গে ইউরোপের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্যসমঝোতা বাড়লে তা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অক্ষে ভারতের ভূমিকাকে অনেকটাই দুর্বল করে দিতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতাদের ঘনঘন বেজিং যাত্রার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ় নভেম্বরে গিয়েছেন চিনে। ডিসেম্বরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের কর্তা শার্ল মিশেল যান সে দেশে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পাবলো সানচেজ় এই সপ্তাহে চিন সফর করছেন। আগামী সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন যাবেন বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সম্প্রতি ব্রাসেলসে ইইউ-চিন সম্পর্ক সংক্রান্ত সম্মেলনে উরসুলা বলেছেন, তিনি শি জিনপিং সরকারের কাছে একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা কৌশলের’ বিষয়ে প্রস্তাব করবেন। চলতি বছরের শেষ থেকেই এই কৌশল রূপায়ণ করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। ইইউ-এর পক্ষ থেকে অবশ্য এটাও জানানো হয়েছে, চিনের একচেটিয়া আধিপত্য কমানোর জন্যই নাকি এই কৌশল। এ-ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে যে চিন এবং ফ্রান্স তাদের প্রথম দফার এলএনজি গ্যাস বাণিজ্য শেষ করেছে ইউনান প্রদেশকেব্যবহার করে।

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ইউরোপের নেতাদের চিনে এত বার সফরের আরও একটি উদ্দেশ্য, রাশিয়াকে ক্রমাগত সামরিক সাহায্য জোগানো থেকে বিরত রাখা। ইউরোপের ধারণা, চিন যদি তার যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে পুরোপুরিভাবে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ায়, খুব বড় মাপের সঙ্ঘাত ও সঙ্কট এড়ানো যাবে না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন