Donald Trump Elon Musk

ট্রাম্পের সেই বিল কি আইন হবে? খোলামেলা বিতর্কের জন্য ভোট দিচ্ছে মার্কিন সেনেট, মাস্ক বললেন, ‘সকলের চাকরি যাবে’

মাস্ক এর আগেও ট্রাম্পের বিলটির সমালোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন। বিলটি সেনেটে পাশ করানোর জন্য ৪ জুলাইয়ের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ০৮:০৬
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় কর এবং ব্যয় সংকোচনের জন্য যে অর্থবিলের খসড়ায় সই করেছেন, তা আদৌ আইনে পরিণত হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি খোলামেলা বিতর্কসভা আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য ওই বিতর্কসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে ভোটাভুটির মাধ্যমে। চলতি সপ্তাহেই ভোট হতে পারে। তার আগে আবার ট্রাম্পের বিলের সমালোচনায় মুখর হলেন মার্কিন ধনকুবের, এক্স, স্পেসএক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ক। জানালেন, ওই বিল আইনে পরিণত হলে বহু মানুষের চাকরি চলে যাবে। রিপাবলিকান পার্টির ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ এই বিল।

Advertisement

মাস্ক এর আগেও ট্রাম্পের বিলটির সমালোচনা করেছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন। এমনকি, বিলকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প এবং মাস্কের দ্বন্দ্ব ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি পর্যন্ত পৌঁছেছিল‌। তবে তার পর উভয়পক্ষই সংযত হয়। শনিবার (স্থানীয় সময়) মাস্কের বক্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাস্ক সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘সেনেট ড্রাফ্‌ট বিলটি আমেরিকায় লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান ধ্বংস করে দেবে। আমাদের দেশের পক্ষে মারাত্মক কৌশলগত ক্ষতি বয়ে আনবে এই বিল। এটি উন্মাদ এবং ধ্বংসাত্মক। অতীতের শিল্পকে সাহায্য করে এই বিল ভবিষ্যতের শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে চলেছে।’’ এর পর একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে মাস্ক বিলটিকে রিপাবলিকানদের ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

নতুন অর্থবিলটিকে ট্রাম্প ‘বড় সুন্দর বিল’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। মাস্কের যাবতীয় ভবিষ্যদ্বাণী এবং অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রথম থেকেই ট্রাম্প দাবি করছেন, এই বিল আমেরিকার অর্থনীতির উন্নতিতে আরও গতি আনবে। বিলটিকে আইনে পরিণত করার জন্য সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে এই বিল সেনেটে পাশ করাতে হবে। রিপাবলিকান সেনেটরেরা তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। মাস্কের সতর্কবাণী শেষ মুহূর্তে তাঁদের মাথাব্যথা আরও বাড়িয়ে দিল বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

Advertisement

দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর মাস্ককে নিজের প্রশাসনের উচ্চপদে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। মাস্কের জন্য হোয়াইট হাউসে আলাদা একটি দফতর তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের (ডিওজিই) কাজ ছিল মার্কিন সরকারের অপ্রোয়জনীয় খরচে কাটছাঁট করে ব্যয় সংকোচন করা। ওই দফতরের প্রধান পদ থেকে কিছু দিন আগে মাস্ক ইস্তফা দেন। তার পর থেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্পের অর্থবিলের সমালোচনা শুরু করেন। শনিবারের সমালোচনায় বিতর্ক আরও বাড়ল। কারণ ১০০০ পৃষ্ঠার ওই বিল নিয়ে আলোচনা, বিতর্কসভার তোড়জোড় চলছে মার্কিন সেনেটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement