সুপারমডেল সে। নাম শুডু। ইনস্টাগ্রামে এক লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার। নামী-দামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে এখন শুডুর মুখ যথেষ্ট জনপ্রিয়। তবে জনসমক্ষে কখনও দেখা যায় না তাকে। আসলে ছিপছিপে চেহারার এই কৃষ্ণাঙ্গ মডেলের বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই। কম্পিউটারে আঁকা শুডু শিল্পীর কল্পনা মাত্র!
লন্ডনের ফ্যাশন ফটোগ্রাফার ক্যামেরন-জেমস উইলসন শুডুর স্রষ্টা। অবিকল মানুষের মতো দেখতে শুডুকে। স্ট্রেচ মার্ক হোক বা চোখের কোণে চামড়ার ভাঁজ—থ্রি-ডি নকশায় উইলসন হুবহু ফুটিয়ে তুলেছেন সবই। সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু শুডু নয়, এখন ফ্যাশনের ডিজিটাল দুনিয়া দাপাচ্ছে এমনই সব কাল্পনিক চরিত্রেরা। তবে এতে প্রমাদ গুনছে মডেলিং সংস্থাগুলি। কারণ, ডিজিটাল মডেলের বাড়বাড়ন্তে রুজি-রুটি হারাতে পারেন বাস্তবের মডেলরা।
উইলসনের অবশ্য দাবি, প্রযুক্তি ঠিক মতো ব্যবহার করলে মডেলরা আদৌ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। বরং আরও বেশি কাজ পাবেন তাঁরা। উইলসনের মতে, থ্রি-ডি প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপারমডেলরাও তাঁদের ডিজিটাল অবতার বানিয়ে নিতে পারবেন।